তুরস্কের জালে ফেঁসে ৭ মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
প্রকাশ: ০৬ মার্চ, ২০২৪, ০৬:১৬ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেই আবারও বড় এক দুঃসংবাদ পেল ইসরায়েল। তুর্কি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উগ্র ও দুর্ধর্ষ ইহুদিবাদী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ৭ এজেন্টকে।

গেল বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ছড়িয়ে থাকা হামাস নেতা-কর্মীদের খুঁজে খুঁজে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপরই তুর্কি ভূখণ্ডে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে চরম প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দেয় আঙ্কারা।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাকের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এমআইটি ও ইস্তাম্বুল পুলিশের এক যৌথ অভিযানে মোসাদের হয়ে কাজ করা এসব এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন স্পর্শকাতর তথ্য বিক্রির অভিযোগ পেয়েছে তুরস্ক।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে হামজা তুরহান আইবার্ক নামে একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও বর্তমানে বেসরকারি গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করছেন। তুর্কি সূত্রগুলো জানায়, ভিক্টোরিয়া কোডনেম ব্যবহার করে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা তুর্কি এজেন্ট আইবার্কের সঙ্গে যোগাযোগ করত। সাবেক এ তুর্কি কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে তুরস্কের বিভিন্ন স্পর্শকাতর তথ্য মোসাদের কাছে হস্তান্তর করত।

তুর্কি পুলিশ জানায়, আইবার্ক মোসাদকে তথ্য সরবরাহ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন লোকদের নিয়ে একটি দল গঠন করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি মোসাদ থেকে প্রাপ্ত নির্দেশাবলির ভিত্তিতে তুরস্কে অবস্থানরত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে তা গোপন যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিতেন।

জানা যায়, ২০১৯ সালে সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে মোসাদ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন। তারপর মোসাদের নির্দেশিত বিভিন্ন তথ্য সরবরাহের বিনিময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতেন। তথ্য সংগ্রহের পাশপাশি আইবার্ক বিভিন্ন ব্যক্তিকে ইসরায়েলের পক্ষে হুমকি ও নজরদারি কার্যক্রমও পরিচালনা করতেন।

তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এর এক পোস্টে জানান, কুস্তেবেক-টু নামে পরিচালিত এক যৌথ অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সাত সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে সঠিক বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলেও জানান তুর্কি মন্ত্রী। অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র, বিভিন্ন ধরনের মাদক, নজরদারি ও আড়িপাতার কাছে ব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জাম, বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রা, সংগৃহিত তথ্য ও প্রতিবেদন উদ্ধার করা হয়।

হাআমা/