প্রথম রোজায় আল-আকসা মসজিদ অভিমুখে পদযাত্রার ডাক হামাসের
প্রকাশ:
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৫০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
ফিলিস্তিনিদের রমজানের প্রথম দিনে জেরুসালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ অভিমুখে পদযাত্রা করার আহ্বান জানিয়েছেন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। মূলত আগামী রমজানে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য আল-আকসায় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করতে পারে ইসরায়েল—এমন আশঙ্কা থেকে এবং গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিপরীতে আরও বেশি সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যেই এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার এই আহ্বান এমন এক সময়ে এল, যার মাত্র কয়েক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি সপ্তাহখানেকের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা করছেন। কিন্তু কাতারে চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাত বন্ধে চলমান আলোচনা থেকে এখনো কোনো ইতিবাচক ফল আসেনি। রোজা শুরুর আগেই গাজায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি অর্জনে আরও বিশাল দূরত্ব পাড়ি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন কাতারে কর্মকর্তারা। জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদ বিশ্বের পবিত্র স্থানগুলোর একটি। মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদি—তিন ধর্মের মানুষের কাছেই এই জায়গা পবিত্র বলে বিবেচিত। বিগত কয়েক হাজার বছর ধরেই এই জায়গা ঘিরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। তিন ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে এই পবিত্র জায়গাকে ঘিরে সংঘাত আরও উসকে ওঠে। এদিকে গাজা যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে আল-আকসা মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ করে দিতে পারে। ইসরায়েলের এই ঘোষণার পরপরই ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদ করেছেন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের রাজনৈতিক দলগুলোও এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে। ইসরায়েলের এ ধরনের উদ্যোগের প্রতিবাদে ইসমাইল হানিয়া আল-আকসা অভিমুখে পদযাত্রা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘জেরুসালেম ও পশ্চিম তীরে আমাদের লোকজনকে রোজার প্রথম দিনে আল-আকসা অভিমুখে পদযাত্রার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তবে ইসমাইল হানিয়ার এ ধরনের আহ্বানের সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। দেশটির সরকারের মুখপাত্র তাল হেইরিখ হানিয়ার এই আহ্বানকে ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে তাঁরা (হামাস) যুদ্ধকে অন্যান্য ফ্রন্টেও টেনে আনার চেষ্টা করছেন। তাল হেইরিখ আরও বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই এমনটা চাই না। তাদের শান্ত রাখার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার আমরা করব।’ হাআমা/ |