আইসিজেতে গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদ বাংলাদেশের
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৩৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদ জানালো বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের শুনানিতে ঢাকার অবস্থান স্পষ্ট করেন নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ।

তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েল যা করছে তাকে আত্মরক্ষার নাম দেয়ার কোন সুযোগ নেই। ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

৫৭ বছর ধরে গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বিষয়ে অভিযোগ তদন্তে ২০২২ সালে প্রস্তাব পাস করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। ওই প্রস্তাবের ভিত্তিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে আইসিজে-কে আহ্বান জানায় সংস্থাটি।

সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে সোমবার থেকে নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শুনানি চলছে। 

মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিন বক্তব্য দেয় বাংলাদেশ, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ। এতে বাংলাদেশের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ। বলেন, গাজায় ইসরায়েল যা করছে তাকে আত্মরক্ষার নাম দেয়ার কোন সুযোগ নেই। 

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘আত্মরক্ষার নামে দীর্ঘমেয়াদি এই দখলদারিত্বের কোন সুযোগ নেই। সব রাষ্ট্রেরই উচিৎ ইসরায়েলের এই অবৈধ পদক্ষেপের বিরোধীতা করা। ইসরায়েলকে রুখতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসাথে ইসরায়েলকে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেইসাথে এধরনের কর্মকান্ডের যেন পুনরাবৃত্তি না হয় তার নিশ্চয়তা দিতে হবে তেল আবিবকে।’

দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে দেয়া বক্তব্যে ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে বেআইনী ঘোষণা করতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানায় সাউথ আফ্রিকা। 

শুনানিতে সরাসরি অংশ না নিলেও আত্মপক্ষ সমর্থন করে ৫ পৃষ্টার একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। সেখানে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। সেইসাথে জাতিসংঘ এবং এর আইনি সংস্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে তেলআবিব। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে শুনানি। এতে মোট ৫২টি দেশ ও ৩টি সংস্থা পর্যায়ক্রমে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করবে। এসব বিবেচনা করে প্রায় ছয় মাস পর মামলার রায় দিতে পারে আইসিজে। তবে, সিদ্ধান্ত যাই হোক তা মানার বাধ্যবাধকতা নেই ইসরায়েলের। 

এনএ/