এবার রাজধানী দখলের পরিকল্পনায় আরাকান আর্মি
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:১৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারে আরাকান আর্মি (এএ) রাজ্যের আরেকটি সামরিক ঘাঁটি দখল করেছে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি)। এ বিজয়ের পর আরাকান আর্মি এখন রাখাইনের রাজধানী দখলের পরিকল্পনা করছে। আরাকান আর্মির কাছে একের পর এক ঘাঁটি হাতছাড়া হওয়ায় দেশটিতে প্রচণ্ড অস্থিরতা বিরাজ করছে। জনমনে বাড়ছে আতঙ্ক-অনিশ্চয়তা। সংঘর্ষ চলছে রাখাইনের সর্বত্র। 

নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে আতঙ্কিত হাজারো রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছেন। তারা সাগরপথে বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। 

এএ বলছে, ঐতিহাসিক ম্রাউক-ইউ টাউনশিপে বেশ কয়েক দিনের লড়াইয়ের পর লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন (এলআইবি) ৫৪০ কে তারা পরাজিত করেছে। সেখানে তারা এলআইবি ৩৭৭ এবং ৭৭৮ ব্যাটালিয়নের অন্তর্গত ঘাঁটিগুলোও ঘেরাও করে রেখেছে।

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে তিনটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। নাম দেয়া হয়েছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। এ অ্যালায়েন্সে এএ ছাড়াও আছে  মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর অপারেশন-১০২৭ শুরুর পর থেকে এই জাতিগত জোট উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ২০টি শহর এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ। 

ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাখাইনের উপকূলীয় রামরিতে জান্তা সৈন্য বৃদ্ধি করলে সেখানেও সংঘর্ষ হয়। স্থলযুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর রামরিতে আরও সৈন্য পাঠায় মিয়ানমার জান্তা। বুধবার যুদ্ধবিমান ও গানবোট থেকে রামরিতে তারা গুলি চালায়। এএ সৈন্যরা জান্তার অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে। শহরজুড়ে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা জান্তা সৈন্যদের মৃতদেহও খুঁজে পেয়েছে।

রোহিঙ্গাদের চলমান ঢলের মধ্যেই বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় নতুন করে ১৩০ জনের বেশি রোহিঙ্গা পৌঁছেছে। এ খবর নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। মিয়ানমার থেকে সেখানে পাড়ি জমানো রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। 

ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, গেল চার মাসে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। সূত্র: ইরাবতি

এনএ/