আলোচিত আসিফ মাহতাব স্যারকে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব!
প্রকাশ:
২৪ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৪:২৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব নতুন শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত বিতর্কিত একটি বিষয়ে নিয়ে সমালোচনা করায় চাকরি হারিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দেশ-বিদেশে সব মহলেই চলছে তুমুল সমালোচনা। বিশেষ করে মাহতাবের চাকরি হারানোর বিষয় এবং ব্র্যাকের এমন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও বেশ সরগরম। এদিকে এ ঘটনায় দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরির অফার দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে এ অফার করেন তিনি। লাইভে এসে তিনি বলেন, আসিফ ভাইয়ের চাকরি নিয়ে নিয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানে যত বেতন দিত, তার ডাবল বেতন দিয়ে আমি আসিফ ভাইকে চাকরি দেব। আসিফ ভাই যদি চাকরি করতে না চান, তা হলে আপনিও (আসিফ) একটি ইউনিভার্সিটি কিংবা একটা কলেজ গড়ে তুলুন, আমি স্পন্সর করব বাংলাদেশে। লাখো-কোটি মানুষের সামনে আমি ওয়াদা করে যাচ্ছি। আমি চাই আসিফ ভাইকে চাকরি দিতে। এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় নানা আলোচনার মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সোমবার এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, আসিফ মাহতাবের সঙ্গে বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো চুক্তি নেই। বিবৃতিতে বলা হয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ‘একটি নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তি এবং সহিষ্ণুতা বজায় রাখতে’ দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরপর আসিফ মাহতাব এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, “আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস না নিতে না যাই। আমি জানি না হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত তারা কেন নিল। আমাকে কোনো কারণ তারা দেয়নি।” এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাড্ডা ক্যাম্পাসের সামনে জড়ো হয় একদল শিক্ষার্থী। তাদের হাতের ব্যানার-প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘সে নো টু এলজিবিটিকিউ’, ‘উই ডোন্ট প্রমোট এলজিবিটিকিউ’। এনএ/ |