দখলদার ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২৫ হাজার
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারী, ২০২৪, ১০:৩১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম
শেয়ার করুন:

3
Shares
facebook sharing buttontwitter sharing buttonwhatsapp sharing button
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ২৫ হাজার
ছবি: রয়টার্স
নতুন বছরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার তীব্রতা বেড়েছে। অবরুদ্ধ উপত্যকায় দেশটির নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজারে পৌঁছেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাশাপাশি এ সময় আহত হয়েছে আরো ৬২ হাজার ৩৮৮ জন। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারছেন না।

বিজ্ঞাপন


ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা এদিন আরো জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের উত্তর-পূর্বে আল-কারারা শহরে একাধিক বাড়ি ধ্বংস করেছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত এবং অন্যরা আহত হয়েছে।

আরও পড়ুন: গাজায় প্রতি ঘণ্টায় দুইজন করে মায়ের প্রাণহানি: জাতিসংঘ

গতকাল গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালানো হয়। তবে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব হামলা ঠেকিয়ে দেয়। আলজাজিরা রকেট হামলা ঠেকিয়ে দেওয়ার কিছু ছবি প্রকাশ করেছে।

এদিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শরণার্থী শিবির এলাকায় উড়োজাহাজ থেকে জিম্মিদের ছবিসহ লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে ৬৯ জন জিম্মির নাম পরিচয় প্রকাশ করেছে তারা। লিফলেটে নম্বর দিয়ে ফিলিস্তিনিদের বলা হয়েছে, কোনো জিম্মিকে চিনে থাকলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে জানাতে হবে। ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় এখনও হামাসের হাতে প্রায় ১৩৬ জন বন্দি রয়েছে।

বিজ্ঞাপন


ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকার বেশির ভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, এ যুদ্ধ সেখানকার ২৪ লাখ মানুষের জন্য মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাদাগাদি করে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা এসব মানুষকে খাবার, পানি, জ্বালানি ও স্বাস্থ্যসেবা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: হুথিদের ওপর পশ্চিমা হামলা ব্যর্থ: নিউইয়র্ক টাইমস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, গাজার বাসিন্দারা এখন ‘নরকে বসবাস করছেন’। অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় অত্যাসন্ন দুর্ভিক্ষ নিয়ে এর আগে জাতিসংঘের দেওয়া হুঁশিয়ারিই তাঁর বক্তব্যে প্রতিধ্বনিত হয়েছে।

রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে ডব্লিউএইচওর পাশাপাশি বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) ও ইউনিসেফ বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ ঠিক রাখতে মৌলিক পদক্ষেপে একটি পরিবর্তন আনা জরুরিভাবে প্রয়োজন। নিরাপদ ও দ্রুততার সঙ্গে ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিতে সীমান্তপথ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাগুলো।