দুশ্চিন্তা দূর ও মানসিক শক্তি বাড়ানোর দোয়া
প্রকাশ:
০৭ জানুয়ারী, ২০২৪, ১০:৫৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
দুশ্চিন্তা মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দুশ্চিন্তা ও মানসিক অবসাদ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দুশ্চিন্তা ও মানসিক অবসাদ থেকে বাঁচতে মানুষ নানা ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করছে। হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের দুশ্চিন্তা কমাতে, মানসিক অবসাদ কাটাতে বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। ইসলামি স্কলাররা এসব দোয়ার উপকারিতা নানাভাবে বর্ণনা করেছেন। দুশ্চিন্তার সময় যে দোয়া পড়বেন- অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে আশ্রয় চাই। আমি আশ্রয় চাই অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, আপনার কাছে আশ্রয় চাই ভীরুতা ও কার্পণ্য হতে, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের রোষানল থেকে।’ উপকার : হজরত আবু সাঈদ আল খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা হজরত রাসুলুল্লাহ সা. মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে আবু উমামাহ নামক এক আনসারি সাহাবিকে দেখতে পেয়ে তাকে বললেন, হে আবু উমামা! কী ব্যাপার! আমি তোমাকে নামাজের ওয়াক্ত ছাড়া মসজিদে বসে থাকতে দেখছি? তিনি বললেন, সীমাহীন দুশিন্তা ও ঋণের বোঝার কারণে হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দেব না, তুমি তা বললে আল্লাহ তোমার দুশ্চিন্তা দূর করবেন এবং তোমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থাও করে দেবেন? তিনি বললেন, আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি সা. বললেন, তুমি সকাল-সন্ধ্যায় বলবে, তখন তিনি আবু উমামা রা. কে এই দোয়া শিক্ষা দিলেন। আবু উমামা রা. বলেন, আমি তা-ই করলাম। ফলে মহান আল্লাহ আমার দুশ্চিন্তা দূর করলেন এবং আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থাও করে দিলেন।’ –সুনানে আবু দাউদ : ১৫৫৫ মানসিক শক্তি বৃদ্ধির দোয়া- অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে স্থির রাখুন এবং আমাকে হেদায়েতপ্রাপ্ত ও হেদায়েতকারী বানিয়ে দিন। উপকার : হজরত জারির রা. বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ সা. তাকে বলেছেন, তুমি কি জুল-খালাসাকে ধ্বংস করে আমাকে চিন্তামুক্ত করবে? সেটা ছিল একটি মূর্তি। মানুষ এর পূজা করত। সেটাকে বলা হতো ‘ইয়েমেনি কাবা।’ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি অশ্ব পৃষ্ঠে স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমাকে বুকে জোরে একটা থাবা মারেন এবং বলেন (দোয়া করলেন), ‘হে আল্লাহ, আপনি তাকে স্থির রাখুন এবং তাকে হেদায়েতকারী ও হেদায়েতপ্রাপ্ত বানিয়ে দিন।’ তখন আমি আমার গোত্র আহমাসের ৫০ জন যোদ্ধাসহ বের হলাম। তারপর আমি ওই মূর্তির কাছে গিয়ে সেটা জ্বালিয়ে ফেললাম। এরপর আমি নবী সা.- এর কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আল্লাহর কসম! আমি জুল-খালাসাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে পাঁচড়াযুক্ত উটের মতো করে আপনার কাছে এসেছি। তখন তিনি আহমাস গোত্র ও তার যোদ্ধাদের জন্য দোয়া করেন। -সহিহ বোখারি : ৬৩৩৩ আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওপিক দান করুন। এনএ/ |