ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে হারাম ঘোষণা করল হাটহাজারী মাদরাসা
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৭:১৩ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

নুর আলম সিদ্দিকী
বিশেষ প্রতিবেদক

ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে ‘অভিশপ্ত’ আখ্যা দিয়ে “হারাম” ঘোষণা করে ফতোয়া ‍দিয়েছে চট্টগ্রামের আল- জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসা।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) হাটহাজারী মাদরাসার ফতোয়া ও ইসলামি আইন গবেষণা বিভাগ থেকে পাঁচ জন মুফতি স্বাক্ষরিত এক ফতোয়ায় ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে ‘অভিশপ্ত’ আখ্যা দিয়ে “হারাম” ঘোষণা করা হয়েছে।

ফতোয়ায় স্বাক্ষরকারী পাঁচজন আলেম হলেন- মাদরাসার সিনিয়র উস্তাদ ও মুহাদ্দিস- মুফতি কিফায়াতুল্লাহ, মুফতি জসীমুদ্দীন, মুফতি আবু সাঈদ, মুফতি হুমায়ুন কবীর, মুফতি মো. রাশেদ।

ট্রান্সজেন্ডার এক ধরনের মানসিক বিকৃতি। সম্প্রতি ‘ট্রান্সজেন্ডার’ নামে অভিশপ্ত একটি অদ্ভূত মতবাদ প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে এ মতবাদের অধিকারীদের উপস্থিতি জানান দিতে দেখা যাচ্ছে। সরকারের কাছে নানারকম দাবিও তারা উত্থাপন করছে। এমনকি ‘ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা ও সুরক্ষা আইন পাশের অশুভ পায়তারাও চলছে।

১৯৬৫ সনের আগ পর্যন্ত এমন বিকৃত চিন্তাধারার অস্তিত্ত্ব আছে এমন তথ্য পাওয়া যায় না। এদের দাবি হলো শরীর নয়, মনই ব্যক্তির আসল লিঙ্গ-পরিচয়। অর্থাৎ একজন পুরুষের যদি মনে হয় সে নারী, তাহলে সে নারী। আবার একজন নারীর যদি মনে হয় সে পুরুষ, তাহলে সে পুরুষ।

এ মতবাদ সমাজের ভারসাম্যতা ও স্বাভাবিক রীতিকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিচ্ছে। উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, ছাত্রী হোস্টেল নিয়ে তৈরি হচ্ছে মারাত্মক সামাজিক বিশৃঙ্খলা।

হাটহাজারী মাদরাসা থেকে প্রকাশিত ফতোয়াটি আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

সৃষ্টিগতভাবে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে পুরুষ বা নারী হিসেবে সৃজন করেছেন। যাদের দেহ শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি তারা পুরুষ, যাদের দেহ ডিম্বাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি তারা নারী।

এটা শুধু বাহ্যিক যন্ত্রপাতির বিষয় না; পুরো প্রজননব্যবস্থার বিষয়। মানবজাতির খুব অল্প সংখ্যক কিছু মানুষ আছেন যাদের প্রজননব্যবস্থা এবং যৌন বিকাশের ত্রুটি থাকে। বাহ্যিকভাবে তাদের দেহে জন্মগতভাবে নারী ও পুরুষ উভয়ের বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণ দেখা যায়।

এধরনের মানুষকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় ইন্টারসেক্স (Intersex) বা আন্তঃলিঙ্গ শব্দ। আমাদের দেশের মানুষ সাধারণত হিজড়া বলতে মূলত ইন্টারসেক্স বা আন্তঃলিঙ্গ মানুষদের বুঝিয়ে থাকে। এর বাইরে তৃতীয় কোনো লিঙ্গ আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেননি। আর এটাই ছিলো সর্বমহলে সমাদৃত।

এভাবে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও থেমে থাকেনি পশ্চিমাদের অপতৎপরতা। নতুন চিন্তা, নতুন মতবাদ হিসেবে এরা বিশ্বের সামনে উপস্থিত করে ট্রান্সজেন্ডার নামের এক নতুন বিকৃত যৌনচারের। কখনো বাধ্য করে, কখনোবা কৌশলে এই চিন্তাধারা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী।

অথচ ১৯৬৫ সনের আগ পর্যন্ত এমন বিকৃত চিন্তাধারার কোনো আওয়াজ ছিলো-এমন তথ্য পাওয়া যায় না। যার প্রবক্তারা পৃথিবীবাসীকে এমন এক পথের দিকে আহ্বান করছে, যেখানে শরীর নয়, মনই ব্যক্তির আসল লিঙ্গ-পরিচয়। অর্থাৎ একজন পুরুষের যদি মনে হয় সে নারী, তাহলে সে নারী।

আবার একজন নারীর যদি মনে হয় সে পুরুষ, তাহলে সে পুরুষ। মোটকথা তারা দাবি করে, তাদের মানসিক লিঙ্গ শারীরিক লিঙ্গ থেকে ভিন্ন। এ জন্য তারা মানসিক লিঙ্গবোধ অনুযায়ী শরীরে পোশাক আশাক পরিধান করে থাকে।

তাদের দাবী হলো, তাদের বাহ্যিক লিঙ্গ আর বিকৃত চিন্তাগত লিঙ্গ দুটো ভিন্ন ভিন্ন। এরা আরো দাবি করে; ডাক্তারের সাহায্যে তাদের মনের রূপকে বাস্তবেই রূপান্তর করা সম্ভব। এইজন্য দেখা যাই যে, ডাক্তারের সাহায্যে অস্ত্রোপচার করে তারা তাদের মনের রূপকে বাস্তবে রূপান্তর করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। আর সেই বেশেই এরা এখন নিজেকে প্রদর্শন করছেন।

     • চিকিৎসার মাধ্যমে কি মনের রূপকে বাস্তবে রূপান্তরণ করা সম্ভব?

প্রকৃত বাস্তবতা হলো:তথাকথিত লিঙ্গ পরিবর্তন সার্জারির মাধ্যমে কেউ আসলে পুরুষ থেকে নারী বা নারী থেকে পুরুষ হয় না।

মূলত এগুলো এক ধরনের কসমেটিক সার্জারি। এ ধরণের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেবল বাহ্যিকভাবে কিছু পরিবর্তন আনা যায়, সৃষ্টিগত লিঙ্গের কোনো পরিবর্তন করা যায় না।

এইজন্য কোনো ট্রান্সজেন্ডার মেয়ে যার জন্ম হয়েছে পুরুষ হিসেবে, শত অস্ত্রোপচার করা হলেও কোনো দিন তার পক্ষে মা হওয়া সম্ভব নয়। অথচ মা হতে পারা স্ত্রী লিঙ্গ হওয়ার সবচেয়ে বড় আলামত।

কারণ ট্রান্সজেন্ডার মেয়ের বাচ্চাদানি থাকে না। তেমনি কোনো ট্রান্সজেন্ডার পুরুষের পক্ষে কোনো দিন বাবা হওয়া সম্ভব না। তাদের এই দাবি অর্থাৎ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রূপান্তর সম্ভব; প্রতারণা আর ধোঁকা বৈ কিছুই না।

  • ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের সামাজিক ক্ষতি:

ট্রান্সজেন্ডারের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হলো সমকামিতাসহ অন্যান্য বিকৃত যৌনতার প্রসার। কারণ একজন ট্রান্সজেন্ডার মেয়ে (যে কিনা বাস্তবেই একজন পুরুষ) যখন কোনো পুরুষের প্রতি আসক্ত হয়ে মেয়ের রূপ ধারণ করবে, পরবর্তীতে বিয়ে করে তার সাথে মিলন করবে, বাস্তবে মিলনটা হবে পুরুষে-পুরুষে।

কারণ একটু আগে উল্লেখ করা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রকৃত পক্ষে সৃষ্টিগত লিঙ্গের পরিবর্তন সম্ভব নয়। আর পুরুষের সাথে পুরুষের মিলন এবং নারীর সাথে নারীর মিলনের নাম হলো সমকামিতা।

যা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্য অপরাধ। হযরত লুত আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্প্রদায়কে এই পাপের কারণে আল্লাহ তায়ালা ভূমি উল্টিয়ে এবং পাথুরে বৃষ্টি বর্ষণ করে ধ্বংস করেছেন।

  • দ্বিতীয়ত: ট্রান্সজেন্ডারকে যদি বৈধতা দেওয়া হয় এবং মনের রূপকে বাস্তবে রূপান্তরিত করা ট্রান্সজেন্ডার মেয়েদের যদি মহিলা বিশেষায়িত স্থান তথা মহিলা হোষ্টেল ইত্যাদিতে প্রবেশের অবাধ অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে তা হবে সুকৌশলে ব্যভিচারের পথকে আরো সহজ করে দেওয়া।

কারণ আমরা আগেও উল্লেখ করেছি, অস্ত্রোপচার বা অন্য কোনো মাধ্যমে শরীরের কিছু পরিবর্তন আসলেও তাদের সৃষ্টিগত লিঙ্গের কোনো পরিবর্তন হয় না।

সুতরাং এভাবে একজন ট্রট্রান্সজেন্ডার মেয়েকে (যে কিনা বাস্তবে একজন পুরুষ) মহিলা বিশেষায়িত স্থানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া তার জন্য ধর্ষণের পথ খুলে দেওয়া নয়কি? যেমনটা ঘটেছে অ্যামেরিকাতে।

২০১১ সালে হত্যার দায়ে ত্রিশ বছরের জেল হয় ডেমিট্রিয়াস মাইনর নামের এক যুবকের। ৯ বছর জেলে খাটার পর হঠাৎ করে নিজেকে নারী দাবি করতে শুরু করে সে। ট্রান্সজেন্ডারবাদের বিষে আচ্ছন্ন আমেরিকান বিচারব্যবস্থা এ দাবি মেনে নিয়ে তাকে পাঠিয়ে দেয় এক মহিলা কারাগারে।

কারাগারে নারীদের সাথেই এক সাথে রাখা হয় আপাদমস্তক পুরুষ ডেমিট্রিয়াসকে। ফলে যা হবার তাই হয়, ডেমিট্রিয়াসের সাথে শারীরিক সম্পর্কের জের ধরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে দুই নারী কয়েদি। এ ঘটনার পর ডেমিট্রিয়াসকে আবারো পাঠানো হয় পুরুষদের কারাগারে।

  • ইসলামি শরীয়ার দৃষ্টিতে ট্র্যান্সজেন্ডারের বিধান ও আমাদের করণীয়;

আল্লাহ তায়ালা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। যাকে যেভাবে সৃজন করার দরকার তাকে সেই রূপেই সৃজন করেছেন। মানুষকে জমিনে নিজের খলিফা হিসেবে মনোনীত করেছেন এবং মানবজাতির হেদায়েতের জন্য বিভিন্ন বিধান অবতীর্ণ করেছেন।

ক্ষেত্র বিশেষে নারী-পুরুষের বিধান গুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এখন যদি এর বিপরীতে গিয়ে সবাইকে তার মনের রূপকে রূপান্তর করার অনুমোদন দেওয়া হয়, তাহলে পুরো সমাজ ব্যবস্থার চিত্রটায় পাল্টে যাবে এবং ইসলামি শরীয়াহ পূর্ণরূপে অকার্যকর হয়ে যাবে। যা আল্লাহর সাথে বিদ্রোহের নামান্তর।

পশ্চিমা বিশ্ব এইটা বিশ্বব্যাপী চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের অজান্তেই তাদের ফাঁপা বুলি ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর আঘাত করছে। সাথে সাথে ঈমান বিধ্বংসী এই ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ মানুষকে আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃতির সবক দেয়।

আর আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতি করা অত্যন্ত পাপ ও হারাম কর্ম। যা আজ পশ্চিমা বিশ্বের দোসররা মুসলিম দেশগুলোতে বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর এবং তা প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছে।

এমতাবস্থায় সর্বস্তরের মানুষের দায়িত্ব, ঈমান বিধ্বংসী এই ফেতনার লাগাম টেনে ধরা এবং এর প্রসার রোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। অন্যথায় এই পাপের শাস্তি হিসেবে যদি আল্লাহ তায়ালার গজব নেমে আসে, তাহলে তা আমি, আপনি এবং আমাদের সবাইকে গ্রাস করে নিবে।

কারণ, আল্লাহ তায়ালা বলেন- তোমরা ভয় করো ওই শাস্তিকে, যেটা শুধু তোমাদের মাঝে সীমালঙ্ঘনকারীদের উপর আসবে না (বরং শক্তি থাকা সত্ত্বেও যারা এটা প্রতিহত করেনি তাদেরকেও গ্রাস করে নিবে)।

                                            -- শরয়ি প্রমানাদি--

ولاضائهم ولامنينهم ولامرنهم فليبتكم أذان الألعام والأمر لهم فليغيرن خلق الله وَمَن يَتَّخِذ الشيطان وليا من دُونِ اللَّهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا

مبينا) ) سورة النساء : (۱۱۹) )

2 حمل هذا التغيير على تغيير أحوال كلها تتعلق بالظاهر وذكروا فيه وجوها الأول : قال الحسن : المراد ما روى عن عبد الله بن مسعود عن النبي : لعن الله الواصلات والواشمات قال وذلك لان المرأة تتوصل بهذه الافعال الى الزنا والثاني روى عن انس وشهر

بن حوشب وعكرمة وابي صالح ان ممسلم تغيير خلق الله ههنا هو الإخصاء وقطع الاذان وفقء العيون.

الثالث : قال ابن زيد هو التخنث واقول يجب ادخال السحاقات في هذه الآية على هذا القول لان التحدث عبارة عن ذكر يشبه الانثى التفسير الكبير للامام الفخر الدين الرازي : ص / ۲۲۳ ج / ٤ )

والسحق عبارة عن انثى تشبه الذكر.

دار الافتاء

 عن ابن عباس رضي الله عنه قال : لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم المتشبهين من الرجال بالنساء والمتشبهات من النساء

بالرجال صحيح البخاري : رقم الحديث : (٥٨٨٥) وعنه أيضا قال: لعن النبي المخنثين من الرجال والمترجلات من النساء وقال : اخرجوهم من بيوتكم صحيح البخاري : رقم الحديث : (٥٨٨٦

م قال الحافظ العلامة ابن حجر : الحكمة في من تشبه اخراجه الشيئ عن الصفة اللتي وضعها عليه أحكم الحكماء وقد اشار إلى ذلك في لعن الواصلات بقوله المغيرات خلق الله فتح الباري ص / ۳۳۳ ج/۱)

5 قال الإمام القرطبي : لا يختلف فقهاء الحجاز وفقهاء الكوفيين أن خصاء بني أدم لا يحل ولا يجوز لأنه مثلة التفسير القرطبي : ج 5 ص (۳۹۱)

انه ثبت بشهادة بعض المختصين من الاطباء ان هذا النوع من الجراحة لا تتوفر فيه أى دواع ودوافع معتبرة من الناحية الطبية وانه لا يعد كونه رغبة تتضمن التطاول على مشيئة الله وحكمته اللتي اقتضت تحديد جنس الانسان ذكرا او انثى (جراحة التجميل بين

المفهوم الطبي والممارسة .د ماجد عبد المجيد طهبوب : ص / ٤٢٤)

7 فاذا كان هذا التحريم متعلقا بالخصاء تغيير لشيئ من مهمة العضو فكيف بالتغيير الكامل لا شك انه أولى واخرى بالتحرم فلهذا لا

يجوز للطبيب ولا للطالب رجلا كان أو امرأة أن يقدم على فعل هذا النوع من الجراحة احكام الجراحة الطبية والآثار المرتبة عليها

المحمد بن محمد المختار الشنقيطي : ص : ۲۰۲ طل : مكتبة الصحابة)

واتقوا فتنة لا تصيين الذين ظلموا منكم خاصة.

سورة الانفال:

من رأى منكم منكرا فليغيره بيده فان لم يستطع فبلسانه فان لم يستطع فبقلبه وذلك اضعف الايمان. رواه مسلم 10 فطرة الله اللتي فطر للناس عليها لا تبديل لخلق الله ذلك

الدين القيم ولكن أكثر للناس لا يعلمون سورة الروم

 

হাটহাজারী মাদরাসর ইফতা ২য় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ জমির উদ্দিনের ‍লিখিত ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেছেন মাদরাসার সিনিয়র উস্তাদ ও মুহাদ্দিস- মুফতি কিফায়াতুল্লাহ, মুফতি জসীমুদ্দীন, মুফতি আবু সাঈদ, মুফতি হুমায়ুন কবীর, মুফতি মো. রাশেদ।

এনএ/