গণতন্ত্রকে আমাদের আরো সুদৃঢ় করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৭:০৮ সকাল
নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্রকে আমাদের আরও সুদৃঢ় করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে। আজকে যতটুকু উন্নতি করেছি থাকবে না। আমারা দেশের মানুষের জন্য দিন রাত পরিশ্রম করি, বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাবে। উন্নত সমৃদ্ধ ক্ষুধা মুক্ত, স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে যাব। জনগণকে আহ্বান জানাই, নৌকায় ভোট দিয়ে আপনাদের জন্য সেবা করার সুযোগ দিন।

অতীতে ভোটের অধিকার ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করা হয়েছিল

২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম অত্যাচার হয়েছিল বলে জনসভায় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারাই নৌকায় ভোট দিয়েছিল তারাই নির্যাতনের শিকার হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ভোটের অধিকার দিয়েছে আওয়ামী লীগ, সেটা অব্যাহত থাকবে। এবার নির্বাচনে আপনাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ করে কোনো মানুষের ক্ষতি যেন করতে না পারে। এদিকে সকলকে সজাগ থাকার জন্য আমি আহ্বান জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  জনগণ যাকে ভোট দেবে সে-ই নির্বাচিত হবে। কেউ কারো অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। এখানে কোনো রকম সংঘাত, মারামারি আমি দেখতে চাই না। কোনো সংঘাত হলে, আমার দলের যদি কেউ করে তাহলেও রেহাই নেই। তাদের বিরুদ্ধে আমি যথাযথ ব্যবস্থা নেব। সেটা মনে রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করা হয়েছিল। জনগণের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে; এই প্রত্যয় নিয়েই সংগ্রাম করেছি। অনেক সংগ্রাম, ঘাত-প্রতিঘাত আমাদের পার করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে, কারাগারে যেতে হয়েছে। তারপরও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ২১ বছর পরে ক্ষমতায় আসি। জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করি। ৯৬ থেকে ২০০১ সাল ছিল ৭৫-এর পরে বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বর্ণযুগ। 

তিনি বলেন, আমরা খাদ্যসেবা নিশ্চিত করি, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিই, শিক্ষার ব্যবস্থা করি, বিনামূল্যে বই দেওয়ার ব্যবস্থা করি। আমরা এ দেশের রাস্তাঘাট-পুল ব্রিজ নির্মাণের কাজ হাতে নিই, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করি। ১৬০০ থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করি। প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করি। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারলাম না। কারণ, একটা বড় দেশ থেকে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব ছিল, আমি বলেছিলাম এটা জনগণের সম্পদ আমি বিক্রি করতে পারি না। কিন্তু খালেদা জিয়া রাজি হয়ে যান।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি কত মানুষকে হত্যা করেছে তার কোনো হিসাব নেই। আমাদের মা-বোনদের ওপর পাকিস্তানিরা যেভাবে নির্যাতন করেছে, সেভাবেই নির্যাতন করেছে। সেইসময় ফাহিমা, মহিমা, রুমা আত্মহত্যা করে নিজেদের ইজ্জত বাঁচান। এ রকম একটা তাণ্ডব শুধু নয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন বাংলাদেশ ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। পাঁচ বার দুর্নীতিতে তারা বিশ্বে এক নম্বর হয়েছিল। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বাংলা ভাই, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, আমাদের কত নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে তার হিসাব নেই। আমরা নিজেই বারবার তাদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়েছি। তারপরও আমরা কিন্তু দমে যাইনি। বরং এগিয়ে গিয়েছি। আমি তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই, এত বাধা বিপত্তি, অত্যাচার, নির্যাতন, সবকিছু সহ্য করে নেতাকর্মীরা সংগঠনকে ধরে রেখেছেন এবং এগিয়ে যাচ্ছেন।

এনএ/