জুমার দিনে সূরা কাহাফ পাঠের ফজিলত
প্রকাশ:
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:১৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
সূরা কাহাফের সওয়াব বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বিশেষত জুমার দিনে এ সূরা তেলাওয়াতের অনেক সওয়াব ও ফজিলত রয়েছে। সূরা কাহাফ পাঠকারীর জন্য জান্নাতে যাওয়ার নূর (আলো) হবে বলেও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। আবু সাইদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ যেমনভাবে নাজিল হয়েছে সেভাবে পড়বে, তার জন্য কেয়ামতের দিন সেটা নূর (আলো) হবে। (শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং: ২২২১) আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সা. বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে হেফাজত থাকবে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৮০৯, আবু দাউদ, হাদিস নং: ৪৩২৩)
বারা ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাতে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিলেন। তার কাছে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঘিরে ফেলে। এরপর যখন মেঘখণ্ডটি তার খুব কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি করতে লাগল। সকালে ওই ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর কাছে এসে রাতের ঘটনা জানালেন। তিনি বললেন, ওটা ছিল সাকিনা (আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত), যা কোরআন তেলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। (বোখারি, হাদিস নং : ৫০১১, ৩৬১৪; মুসলিম, হাদিস নং : ৭৯৫) নাওয়াস ইবনে সাময়ান (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি দাজ্জালকে পাবে, সে যেন সূরা কাহাফের শুরুর অংশ পড়ে। ( মুসলিম, হাদিস নং : ২৯৩৭; আবু দাউদ, হাদিস নং : ৪৩২১; তিরমিজি, হাদিস নং : ২২৪১) আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দাজ্জালের ফেতনা থেকে হেফাজত করুন। |