বাংলাদেশের সঙ্গে চার খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব
প্রকাশ:
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১১:৫১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
বাংলাদেশের সঙ্গে খাদ্য, জ্বালানি, লজিস্টিকস এবং উৎপাদন খাতে বাণিজ্য জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। বুধবার রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে অনুষ্ঠিত সৌদি-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক বৈঠকে এ বিষয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা জানান সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরা। দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই এ বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের বিনিয়োগ-বিষয়ক মন্ত্রী খালিদ এ. আল ফালিহ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৌদি আরবের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সৌদি আরবের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দীর্ঘদিন ধরে উভয় দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, এতদিন বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শুধু কয়েকটি খাতে বিদ্যমান ছিল। তবে এখন সময় এসেছে আমরা কীভাবে উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাণিজ্যকে সহজ করতে পারি, তার উপায়গুলো খুঁজে বের করা।’ বাংলাদেশের প্রতি সৌদি আরবের সহায়তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সৌদি আরবের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ব্যাপক বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সরকার উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশ থেকে লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের আন্তরিকতার প্রশংসা করে সালমান এফ রহমান ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ থেকে দক্ষ মানবসম্পদ রপ্তানি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উদার ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলেছে।
আরএসজিটি একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটর, যা সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল এবং মালয়েশিয়ান মাইনিং কোম্পানির (এমএমসি) মধ্যে অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। আরএসজিটিআই আগামী ২২ বছর পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে। প্রকল্পে সৌদি প্রতিষ্ঠানের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর মধ্যে ইক্যুইটি’র পরিমাণ ৩০% ও অবশিষ্ট ৭০% ঋণ। আপফ্রন্ট ফি ২ কোটি ডলার, কনসেশন ফি ১৮ ডলার, ট্যারিফ রেভিনিউ উভয়পক্ষ ৫০% হারে। এ ছাড়া বাৎসরিক কনসেশনেয়ার ফি হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পাবে ২৫০ ডলার। যা প্রতি বছর ২.৪% হারে বাড়বে। সব মিলিয়ে ২২ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আয় হবে ৩৩ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ডলার (বর্তমান ডলার দর ১১০.১৯ টাকা হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় ৩ হাজার ৭০৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা)। এমএইচ |