গাজা: বেঁচে থাকাই যেখানে অভিশাপ
প্রকাশ:
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:৩৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
মুহূর্তের মধ্যে গাজায় অসংখ্য শিশু পরিবারের সবাইকে হারাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়। নিজেরাও হচ্ছে পঙ্গু। এমনও আছে অনেকের দু’হাত বা দুই পা কেটে ফেলতে হয়েছে। একদিকে পরিবার হারানো, অন্যদিকে নিজের শরীরের অঙ্গ হারানো- এ যেন তাদের কাছে বেঁচে থাকা মানে অভিশাপ। এতিমরা তো বাবা বা মাকে, বা বাবা-মা হারা সন্তান। কিন্তু গাজার এতিমরা পরিবারের সবাইকে হারাচ্ছে। তাদের বেদনা, কষ্টকথা শোনার আপনজন নেই। এমন অসংখ্য শিশুর একজন আহমেদ শাবাত (৩)। তাকে উদ্ধার করে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে নেয়া হয়। শাবাতের মতোই যুদ্ধে এতিম আরেক শিশু মুনা আলওয়ান। ২ বছর বয়সী এই শিশুকে যখন ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়, তখন সে অঝোরে মায়ের জন্য কাঁদছিল। কিন্তু তার মা মারা গেছেন। মুনাকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর গাজার জাবাল আল রইস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মুনার পিতামাতা, দাদা নিহত হয়েছেন। তার চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চোয়াল ফ্রাকচার হয়েছে। তাকে স্থানান্তর করা হয় অন্য একটি হাসপাতালে। সেখানে সে তার ফুপু হেনার সন্ধান পায়। হেনা বলেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম মুনা নাসের হাসপাতালে আছে। আমরা সেখানে গিয়ে তাকে চিনতে পারি। তিনি আরও বলেন, তার ভাতিজি মারাত্মক দুর্ভোগে আছে। সে শুধু আর্তনাদ করছে। তার চোখেমুখে ভীতি। খান ইউনুসে নাসের হাসপাতালের এককোণে ধাতব একটি বেডে শুয়ে আছে ১১ বছর বয়সী দুনিয়া আবু মেহসেন। তার ডানপায়ে ব্যান্ডেজ। তার চোখেমুখে হতাশা। কোনো হাসি নেই। খান ইউনুসে আল আমাল এলাকায় বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল সে। ইসরাইলের বোমা হামলায় বেঁচে আছে শুধু সে, ভাই ইউসুফ এবং ছোট এক বোন। মা বাবা, ভাই ও এক বোন নিহত হয়েছে। দুনিয়া তার ডান পা হারিয়েছে। সে বলেছে, বাবাকে যখন দেখি, আমি ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছিলাম। তার পুরো শরীর ছিল রক্তে ভেজা। আমাদেরকে ঘিরে ছিল মানুষ। আমার এক বোন শুধু আর্তনাদ করছিল। কিভাবে আমার পা হারিয়েছি, মনে করতে পারছি না। এমএইচ |