দেশের ২১ জেলার ৪৯ আসনে ৮৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল
প্রকাশ:
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:০৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের দ্বিতীয় দিন রোববার দেশের ২১ জেলার ৪৯টি সংসদীয় আসনে ৮৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। জেলাগুলোর মধ্যে সিলেটের ৬টি আসনে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে ১৪ জনের। এছাড়া নোয়াখালীর ৬টি আসনের ২ জন, চট্টগ্রামের ৩টি আসনের ৯ জন, বরিশালের ৬টি আসনের ৬ জন, রংপুরের ৩ আসনের ৪ জন, পাবনার একটি আসনের একজন, রাজশাহীর একটি আসনের ৪ জন, বগুড়ার একটি আসনের একজন, লক্ষ্মীপুর ২টি আসনের ৭ জন, ফরিদপুরের ২টি আসনের ২ জন, নড়াইলের ২টি আসনের ৩ জন, ভোলার ৪টি আসনের ২ জন, যশোরের একটি আসনের একজন, কুমিল্লার একটি আসনের ৫ জন, মুন্সীগঞ্জ একটি আসনের ৩ জন, শরীয়তপুরের ২টি আসনের ২ জন, পটুয়াখালীর একটি আসনের একজন, পঞ্চগড়ের ২টি আসনের ৪ জন, ঝালকাঠির ২টি আসনের ৭ জন, গোপালগঞ্জের একটি আসনের ২ জন এবং কক্সবাজারে ৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। সিলেট অফিস জানায়, সিলেটের ৬টি আসনের ৪৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন গণফোরামের সাবেক সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানসহ হেভিওয়েট প্রার্থীরা। আর স্থগিত করা হয়েছে ২ প্রার্থীর মনোনয়ন। রোববার বিকালে যাচাই-বাছাই শেষে সিলেট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন। নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, ঋণখেলাপির অভিযোগে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব আবদুল মান্নানের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রোববার দুপুরে নোয়াখালীর ছয়টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া- পেকুয়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৩ জনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান পাঁচজনের মনোনয়ন বাতিল ও আটজনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়াও মনোনয়ন বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, কমর উদ্দীন, শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও শাহ নেওয়াজ চৌধুরীর। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, সালাহ উদ্দিন আহমদের ৪৭ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ‘ফিস প্রিজারভারস’ নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে জনতা ব্যাংক থেকে সালাহ উদ্দিন আহমদসহ অন্য পরিচালকরা প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তী সময়ে খেলাপি হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হলেও ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ এখনো সেই ঋণের একজন জামিনদার। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনও ঋণ খেলাপি ছিলেন। নির্বাচনের আইন অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই। ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম নওশের ও মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। রোববার সকালে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। প্রার্থীরা জমা দেওয়া ভোটারের স্বাক্ষর ‘ত্রুটিপূর্ণ’ হওয়ায় এদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি জানান, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে আওয়ামী লীগের চার বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান আখতার, গোলাম রাব্বানী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণী শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া ও চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া। এছাড়াও সাতজনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী, বিএনএফ দলের প্রার্থী আল-সাআদ, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জামাল খান দুদু, এনপিপির প্রার্থী নুরুন্নেসা, বাংলাদেশ সাংস্কৃতি মুক্তিজোট প্রার্থী বশির আহমেদ, জাতীয় পার্টি থেকে শামসুদ্দীন মণ্ডল ও বিএনএম’র প্রার্থী শামসুজ্জোহা বাবু। গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গোপালগঞ্জ-০২ নির্বাচনী এলাকার প্রার্থিতা যাচাই বাছাইয়ে ৮জন প্রার্থীর মধ্যে দুইজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল এবং একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়েছে। রোববার সকালে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত যাচাই বাছাইয়ে এই আসনে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপিসহ ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। রংপুর প্রতিনিধি জানান, রোববার যাচাই বাছাইয়ের দ্বিতীয় দিনে ৩টি আসনে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে ৪ জনের। আরও ৩ জনের প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়েছে। বৈধতা পেয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১৫ জন প্রার্থী। এর আগে ৩টি আসনে ৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল, ৩ জনের স্থগিত ও বৈধতা পেয়েছেন ১৯ জন। এনিয়ে মোট বৈধতা পেলেন ৩৪ জন প্রার্থী। বাতিল হয়েছে ৯ জন ও স্থগিত হয়েছে ৬ জন প্রার্থী। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান এ ঘোষণা দেন। হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। রোববার সকাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করে তাদের মনোনয়নের সঙ্গে জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল পাওয়ায় তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়। এরা হলেন, নাছির হায়দার করিম বাবুল ও মো. শাহজাহান চৌধুরী। ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, দুটি সংসদীয় আসনে সাতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম। রোববার সকালে যাচাই বাছাই এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাতিল হওয়ার প্রার্থীরা হলেন- ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় পার্টির এজাজুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসমাইল হোসেন, নুরুল আলম, ব্যারিস্টার আবুল কাশেম মো. ফকরুল ইসলাম ও ঝালকাঠি-২ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নাসির উদ্দীন ইমরান। লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি জানান, নড়াইল-২ আসনে দু’জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজারসহ ৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার সকালে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করা ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আশফাকুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া সমর্থনকারী ভোটারদের স্বাক্ষর গরমিল ও ফরম পূরণ না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।’ পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, জেলার দুটি নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে পঞ্চগড়-১ আসনে ১৫ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তোয়বুর রহমান, জেলা কৃষক লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতারুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মিল্টন রায় ও মুক্তিজোটের আব্দুল মজিদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা আগামী ৫-৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের কাগজপত্র সঠিক না থাকায় মহিউদ্দিন মামুনের মনোনয়ন পত্র স্থগিত করা হয়। স্থগিত করেছে পটুয়াখালী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম। রবিবার সকাল ১০টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র বাছাই অনুষ্ঠানে কর বকেয়া থাকার অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় তার মনোনয়ন স্থগিত করা হয়। এছাড়া ঋণ খেলাপির দায়ে বাংলাদেশ কংগ্রেসের নাসির উদ্দীন এবং জাকের পার্টির মিজানুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে সাবেক সেনা কর্মকর্তা পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হাবিবুর রহমানের মনোনয়নপত্র। ভেদরগঞ্জ-নড়িয়া (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি জানান, ভোটারের তথ্য গরমিল থাকায় শরীয়তপুর-১ (সদর ও জাজিরা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ও শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখীপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ শওকত আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে যাচাই-বাছাই শেষে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘এক শতাংশ ভোটার তালিকায় ভোটারের তথ্য গরমিল থাকায় ওই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।’ সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, মুন্সীগঞ্জ-০১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনে ৩ জনের প্রার্থিতা বাতিল ও ৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন- মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী এমপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মুহাম্মদ ফরিদ হোসেন। সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের চারজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এরা হলেন বর্তমান এমপি আলহাজ দিদারুল আলম (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন মোহাম্মদ ইমরান ও বিএনএফ প্রার্থী মোহাম্মদ আক্তার হোসেন। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ইউএনও কেএম রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমান এমপি দিদারুল আলম আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দলীয় পদের কোনো কাগজপত্র জমা দেননি। সেই কারণেই তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিনের ১ পার্সেন্ট জনসমর্থনের তালিকা অসম্পূর্ণ ছিল, মোহাম্মদ ইমরানের ১ পার্সেন্টের তালিকা ভুল ছিল, বিএনএম এর প্রার্থী ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট করতে পারেননি। তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লা-২ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনের ১২জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৫ জনের এবং সমর্থনকারীর স্বাক্ষর মিল না থাকায় একজনের প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জাহাঙ্গীর আলম সরকার, তৃণমূল বিএনপির মো. মহসিন আলম ভূঁইয়া, ইসলাম ঐক্যজোটের মাওলানা মো. নাছির উদ্দিন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের বড়ুয়া মনোজিত বীমন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈম হাসান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন আখন্দ। বরিশাল অফিস জানায়, বরিশালের ছয়টি আসনে বাছাইয়ের প্রথম দিনে ৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। রোববার জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম যাচাই বাছাই শেষে তাদের মনোনয়নপত্র প্রাথমিকভাবে বাতিল করেন। বাতিলকৃত ৬ প্রার্থী হলেন, বরিশাল ১ (আগৈলঝাড়া- গৌরনদী) আসনের জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ মোরশেদ জামান। তিনি হলফনামা সঠিকভাবে দাখিল করেননি। বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসন থেকে বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের প্রার্থী মোহাম্মদ মিরাজ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলবার্ট বাড়ৈর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এদের উভয়ের হলফনামা সঠিকভাবে দাখিল না করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বরিশাল ৬ (বাকেরগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির খান সাগর, মোহাম্মদ শাহরিয়ার মিয়া ও নূরে আলম শিকদারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এদের সবাই এক-শতাংশ ভোটারের নাম জমা না দেওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি জানান, যশোর-৪ আসনে (অভয়নগর-বাঘারপাড়া-বসুন্দিয়া) আটজনের মধ্যে একজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। রোববার দুপুরে মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এ তথ্য জানান। ভোলা প্রতিনিধি জানান, রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এরা হলেন ভোলা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান ও ভোলা-২ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম রিটু। মিজানুর রহমানের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিলকৃত মোট ভোটারদের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ তালিকায় ভোটারদের স্বাক্ষর মিল না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, দুটি আসনের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ও ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দেন। এরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃকের হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) ও লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক) আসনে সাতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ দুই আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ জন। স্থগিত রাখা হয়েছে একজনকে। এরা হলেন, লক্ষ্মীপুর ১ আসনে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পবন, তরিকত ফেডারেশনের মো. শাহজালাল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোশাররফ হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন। লক্ষ্মীপুর-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, আমরা ক’জন মুজিব সেনার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এএফ জসিম উদ্দিন আহমেদ ও ফরহাদ মিয়া। এরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। বগুড়া প্রতিনিধি জানান, আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতির ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তিনি জানান, ‘আজ রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সঠিক তথ্য উপস্থাপন না করায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।’ প্রার্থী চাইলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলেও জানান তিনি। পাবনা প্রতিনিধি জানান, ৯০’র দশক থেকে জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। পাবনা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পাবনা ২ আসনের (সুজানগর উপজেলা ও বেড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন) বিএনএম এর সংসদ সদস্য প্রার্থী সঙ্গীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনীর ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত খেলাপি ঋণের কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য করা হয়েছে। এমএইচ |