জিম্মি মুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল ইসরায়েল
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০৮:৪২ সকাল
নিউজ ডেস্ক

 

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছিল উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস- তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার ইসরায়েলের বিশেষ মন্ত্রিসভার (ওয়্যার ক্যাবিনেট) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যম ওয়াইনেট নিউজের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর কাতারের মাধ্যমে হামাস জানিয়েছিল— যদি ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ৫ দিনের যুদ্ধবিরতি দেয়, সেক্ষেত্রে তাদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে ৭০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। পরে এক সংশোধিত প্রস্তাবে হামাস জানায়, ৫ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ৫০ জন জিম্মিকে ছেড়ে দিতে রাজি আছে গোষ্ঠীটি।

ইসরায়েলের ওয়্যার ক্যাবিনেটের একটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যার পর তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সেই বৈঠকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ত বলেন, ‘আমরা ভেঙে ভেঙে নয়— সব জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্ত করতে চাই। হামাসের সর্বশেষ প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়; তবে যদি হামাস ৭০ থেকে ৮০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের প্রস্তাব বিবেচনা করা যেতে পারে।’

বৈঠকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি এবং নিরাপত্তা বাহিনী শিন বেটের প্রধান রোনেন বার উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই প্রস্তাবে সমর্থন জানান এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও তা গ্রহণ করেন।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কয়েক শ’ যোদ্ধা। সেখানে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক লোকজনদের হত্যার পাশপাশি ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় তারা। জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যুক্ত হয় স্থল বাহিনীও। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্করা। যুদ্ধের শুরু থেকেই মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করছে কাতার। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারাও কাতারে বসবাস করেন। গত অক্টোবরের শেষ দিকে ৭-৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এক্ষেত্রেও কাতারের প্রভাব ছিল।

এমআই/