ঘুমানোর আগে ও পরে যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবি
প্রকাশ:
১৫ নভেম্বর, ২০২৩, ১২:০৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
জীবনের সব ক্ষেত্রেই যদি করা যায় রাসুল (সা.)-এর রেখে যাওয়া সুন্নাতের অনুসরণ, সাহাবাদের অনুকরণ ও কোরআন-হাদিসের হুকুম-আহকামগুলোর (নিজের জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে) সঠিক বাস্তবায়ন, তাহলেই সৃষ্টিকুলের মহান স্রষ্টা, বিচার দিনের মহান দ্রষ্টা আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের রহমতে অতিক্রম করা যেতে পারে জান্নাতের মহা তোরণ। পবিত্র কোরআনে কারিমের মধ্যে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, 'যারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করবে, তারা সেসব লোকের সঙ্গে থাকবে, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন, অর্থাৎ নবীগণ, সিদ্দিকগণ, শহিদগণ ও সালেহগণের সঙ্গে। কতই না উত্তম সঙ্গী তাঁরা!' -সুরা নিসা : ৬৯- আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, 'যে কেউ রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ওই দিকেই ফেরাব, যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতম গন্তব্য স্থান। -সুরা নিসা : ১১৫ প্রতিটি কাজেই রাসুল (সা.)-এর সুন্নাতকে প্রাধান্য দেওয়া আবশ্যক। কেননা মুসলমানের প্রতিটি কাজ ইবাদতে পরিগণিত হয়, যদি তা রাসুল (সা.)-এর সুন্নাত অনুযায়ী হয়। মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে এমন কিছু কাজ থাকে, যা প্রতিনিয়তই করতে হয়। পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না, যে এ কাজগুলো করে না বা করার দরকার হয় না। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো ঘুম। ঘুম আল্লাহ তায়ালার একটি বিশাল নেয়ামত, এর মাধ্যমে তিনি নিজ বান্দাদের ওপর বিরাট অনুগ্রহ করেছেন এবং তাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন। আর নেয়ামতের দাবি হলো শুকরিয়া আদায় করা, তথা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্য রাত ও দিন সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা রাতে বিশ্রাম গ্রহণ করো ও তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ করো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। প্রত্যেকের এ নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে সুন্নত পদ্ধতি ঘুমানো উচিত । হজরত হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের বেলায় নিজ বিছানায় শোয়ার (ঘুমানোর আগে) সময় নিজ হাত গালের নিচে রাখতেন। অতঃপর বলতেন- اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।’ আর যখন (ঘুম থেকে) সজাগ হতেন, তখন বলতেন- الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ উচ্চারণ- ‘আলহামদু লিল্লাহিল লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’ অর্থ : ‘সব প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবন দান করেছেন এবং তার দিকেই আমাদের পুনরুত্থান।’ আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবির প্রত্যেকটি সুন্নত জীবনে বাস্তবায়নের তাওফীক দান করুন। আমীন। এমআই/ |