জাতীয় ইমাম সম্মেলনে যা বললেন মসজিদে নববীর ইমাম শায়খ আব্দুল্লাহ বুয়াইজানে
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর, ২০২৩, ১২:৫৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

|| কাউসার লাবীব ||

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে চলছে জাতীয় ইমাম সম্মেলন-২০২৩। এতে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সৌদি আরবের মসজিদ-ই-নববীর ইমাম শায়খ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল বুয়াইজান। অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে প্রায় এক লাখ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় শুরু হয় সম্মেলন। কিছুক্ষণ আগে সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেছেন মসজিদ-ই-নববীর ইমাম। তার বক্তব্য উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে তরজমা করে শোনান ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের গবেষণা বিভাগের মুহাদ্দিস মাওলানা ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান।

প্রদত্ত বক্তব্যে শায়খ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল বুয়াইজান উপস্থিত সবাইকে সালাম জানিয়ে বলেন, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার। অসংখ্য অগণিত দরুদ ও সালাম মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবীদের উপর।

বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মর্যাদাবান ব্যক্তিবর্গকে স্বাগত জানাই। আসলে আমাদের সব ভালোবাসা আল্লাহর জন্য। আজকের এই সমাবেশে আমাদের একত্রিত হওয়া এটি দ্বীন এবং ঈমানের ভিত্তিতে। মুসলিম পরিচয়ের ভিত্তিতে। এই ধারাবাহিকতায় আমি সৌদি আরব তথা মদীনা মুনাওয়ারা থেকে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। মদিনা মনোয়ারা পৃথিবীর পবিত্রতম একটি স্থান, ওহী নাজিলের স্থান, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরতের স্থান। আমি সেখান থেকে এসেছি মুসলিম উম্মার এই সমাবেশে। এই মহান মাহফিল, এই সম্মেলন আমাদেরকে একত্রিত করেছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম, হাফেজে কোরআনদেরকে দেখে আমি কৃতজ্ঞ।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের আগ্রহে ৫৬৪টি মসজিদ নির্মাণ করেছেন; যার ৫০টি আজকে উদ্বোধন হবে। মহান এই অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত। তার এই কাজটিকে আমাদের সকলের নাজাতের জন্য আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন এবং আল্লাহ তায়ালা উপযুক্ত প্রতিদান দান করুন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সালাত কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, ওরা হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

আজকে হাফেজে কুরআনদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। নিশ্চয় এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ।

আমি আবারো উপস্থিত সবার কৃতজ্ঞতা আদায় করছি। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে কবুল করুন।

শায়খ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল বুয়াইজানের বক্তব্যের পর জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও বিশ্বজয়ী হাফেজদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া কিছুক্ষণ পর ষষ্ঠ পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

উল্লেখ্য, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলার পাশাপাশি সব পৌরসভায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ নির্মাণে ২০১৭ সালে ৯,৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এ প্রকল্পের অধীনে সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়।

এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী বিভিন্ন পর্যায়ে ২৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ নতুন আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে এই সংখ্যা দাঁড়াবে তিনশটিতে।

কেএল/