বীরঙ্গনা এক নারীর দৃঢ় ঈমানের গল্প
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর, ২০২৩, ০৯:৩০ সকাল
নিউজ ডেস্ক

 

 ঈমান সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। কুফর ঈমানের বিপরীত। ঈমান সত্য, কুফর মিথ্যা। ঈমান আলো, কুফর অন্ধকার। ঈমান জীবন, কুফর মৃত্যু। ঈমান পূর্ণ কল্যাণ আর কুফর পূর্ণ অকল্যাণ। ঈমান সরল পথ, আর কুফর ভ্রষ্টতার রাস্তা।

মুসলমানের কাছে প্রাণের চেয়েও প্রিয় ঈমান। ঈমানদার সকল কষ্ট সহ্য করতে পারে, মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারে, কিন্তু ঈমান ছাড়তে পারে না। ঈমানই তার কাছে সবকিছু থেকে বড়।

সাহাবায়ে কেরাম দৃড় ঈমানের দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। সত নির্যাতনের সামনেও শৈথিল্য প্রদর্শন করেননি। কখনো কুফরির সাথে আপোসকরেননি তাঁরা। ঈমানের উপর অটল সাহাবীদের গল্প জানা থাকা উচিত সবার।   

হযরত যুনাইরা রা.  ছিলেন ঈমানের উপর অটল থাকা বীরঙ্গনাদের একজন। তার সংক্ষিপ্ত গল্প আমরা জানবো।

হযরত যুনাইরা রা. বনু মাখজুম গোত্রের একজন উপপত্নী। ছিলেন হযরত ওমর রা.-এর দাসি। মক্কায় ইসলাম গ্রহণকারীদের প্রথম তালিকায় তার নাম। ইসলাম গ্রহণের পর ওমরসহ মক্কার ন্যাতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ তার উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়।

মুহাম্মাদের ধর্ম সত্য হলে দাসি যুনাইরা আমাদের আগে মুসলমান হতে পারত না, কথাটি বলেই আবূ জাহাল তার উপর নির্যাতনের স্টীম রুলার চালায়। প্রচণ্ড আঘাতে দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেন তিনি। লাত-উজ্জা  তোমার চোখের জ্যোতি কেড়ে নিয়েছেন কুরাইশগণ তাচ্ছিল্য করে বলতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায়ও গাইরুল্লাহর নাম বরদাশত সহ্য করলেন না।  পূর্ণ ঈমানী শক্তীতে বলে দিলেন! শুনে রাখো! লাত উযযার সামান্যতম ক্ষতি করার সাধ্য নাই।

দ্বীনকে হেনস্থা করায় প্রার্থনায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। আল্লহার দরবারে তার প্রেমিকের কথা প্রকম্পন সৃষ্টি করল। পরক্ষণেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন। -সীরাতে মুস্তফা সা.-

এমআই/