অপপ্রচারের জন্য ইউটিউবকে মোটা অংকের টাকা দিয়েছে ইসরায়েল 
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর, ২০২৩, ০৯:০৩ রাত
নিউজ ডেস্ক

।।জহিরুল ইসলাম।।

ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস) এর তুফান আল আকসা অভিযান শুরুর পর গাজ্জায় ইসরায়েল যে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তা যেন প্রচার না করা হয় এবং হামাসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়, সেজন্য ইউরোপে আট মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ঢেলেছে ইসরায়েলর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গাজ্জা উপাখ্যানের কিয়দংশও প্রচারিত হচ্ছে না ইউরোপে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউটিউবে প্রচারের জন্য প্রায় একশো'টি ভিডিও কন্টেন্ট প্রস্তুত করে। সেই কন্টেন্টগুলোতে দেখানো হয় যে, হামাস আইএসের মতোই সন্ত্রাসী সংগঠন। 

সিমার্চ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, শুধু ইউটিউব প্ল্যাটফর্মকেই দেয়া হয়েছে আট মিলিয়নেরও বেশি ডলার। তিনটি দেশে ইউটিউবকে এই অর্থ দেয়া হয়েছে।
তন্মধ্যে ফ্রান্সে সর্বোচ্চ ছেচল্লিশ লাখ ডলার খরচ করা হয়। আর ট্রেলারগুলো ৫৩৫ মিলিয়নেরও বেশি বার দেখা হয়েছে।

জার্মানিতে, খরচের পরিমাণ ছিল চব্বিশ লাখ ডলার। ইউটিউব  প্ল্যাটফর্মে ইম্প্রেশন ছিল ২৮৪ মিলিয়ন বার।

ইউনাইটেড কিংডমে খরচের পরিমাণ বারো লাখ ডলার। আর ট্রেলারগুলো দেখা হয়েছে ২৫০ মিলিয়নেরও বেশি বার।

এছাড়াও ইউরোপের ভেতর বাইরের অন্যান্য দেশে প্রায় ০.৩ মিলিয়ন অর্থ ব্যয় করেছে হামাসের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জন্য।

সিমার্চ ওয়েবসাইট দ্বারা প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে ব্যয় করেছে ৪.৬ মিলিয়ন ডলার।

৭ অক্টোবর থেকে ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত  ক্লিপগুলোতে দর্শকদের প্রধাণত এই বার্তাই দেয়া হয় যে, হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের সমস্ত কার্যক্রম মানবতাবিরোধী। 
ক্লিপগুলোতে বিশ্বকে এ মর্মে সতর্ক করা হয় যে, হামাসের তৎপরতা ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়বে পুরো বিশ্বেই।

প্রতিটি ট্রেলার এই বাক্য দিয়ে শেষ হয়—  "ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ান।"

জনসাধারণের মস্তিষ্ক ও মননকে প্রভাবিত করার জন্য এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল কর্তৃক পরিচালিত হত্যা এবং বোমা হামলাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আক্রান্ত ও আহত শিশু এবং বয়স্কদের ছবি ব্যবহার করা হয়।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি জাগিয়ে তোলে এমন বিষয়ের প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সামাজিক সাইটগুলোতে। যারা ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন কন্টেন্ট আপলোড করেছিল, সবগুলো ব্লক করে দেয়া হয়েছে।
 
ফিলিস্তিন বিষয়ক প্রচারণা ব্লক করার সময় সামাজিক সাইটগুলো কারণ ও যুক্তি হিসেবে দেখায় যে, এতে  সহিংসতা, মানুষের দেহাবশেষ এবং রক্তের দৃশ্য রয়েছে। তাই এটি তাদের নীতিমালা অনুসারে অনুপযুক্ত বিষয়বস্তু।

 সূত্র: আল জাজিরা

এনএ