মাওলানা সাদকে কেন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে চায় হেফাজতে ইসলাম
প্রকাশ:
২৭ অক্টোবর, ২০২৩, ০৬:৩৬ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
|| হাসান আল মাহমুদ || গত ২৫ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টটিউিশন মিলনায়তনে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করাসহ গুরুত্বপূর্ণ সাত দফা দাবি ও তিন র্কমসূচি ঘোষণা করা হয়। সম্মলেনের সভাপতি ছিলেন হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। এছাড়াও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। এ ঘোষণার পরদিন ২৬ অক্টোবর দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির বাংলাদেশি অনুসারীরা মিডিয়ায় বিবৃতি পাঠিয়ে হেফাজতের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। মাওলানা জিয়া ইবনে কাসেম, মুফতি ওসামা ইসলাম, মুফতি আযীমুদ্দীন, মাওলানা মুয়াজ আব্দুল্লাহ নূর, মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ, মুফতি শফিউল্লাহ মক্কীর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে আজীবন বাংলাদশেে আসা নিষিদ্ধি ঘোষণার দাবি অনাধিকার র্চচা। মাওলানা সাদ সাহেব এদেশে আসা না আসার বিষয়টি তাবলগি সংশ্লিষ্ট। হেফাজতের কোনো বিষয় না। কে এই মাওলানা সাদ কান্ধলভি? তার নাম মুহাম্মদ সাদ কান্ধলভি। পশ্চিম-উত্তর প্রদেশের শামলী জেলার কান্ধলা শহরে তিনি ১৯৬৫ সালের ১৩ মে (১৩৮৫ হি.) জন্মগ্রহণ করেন। মাওলানা সাদ কান্ধলভি তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মুরব্বি হজরতজি মাওলানা ইলিয়াস রহ.-এর বংশধর। তার পিতা হজরত মাওলানা হারুন কান্ধলভি রহ. ছিলেন তাবলিগ জামাতের প্রাক্তন আমীর হজরত ইউসুফ কান্ধলভি রহ.-এর একমাত্র ছেলে। আর ইউসুফ রহ. ছিলেন মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভির ছেলে। তাকে নিয়ে কেন এত বিতর্ক দিল্লির মাওলানা মুহাম্মাদ সাদ কান্ধলভি নানা সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। সময়ে সময়ে কুরআন-হাদিস বিরোধী তার নানা বক্তব্য নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়ে তাকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। বিতর্কের শুরুটা যখন থেকে তাবলিগের তৃতীয় মুরব্বি হজরত মাওলানা এনামুল হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহির ইন্তেকালের পর থেকেই কিছুটা জটিলতা শুরু হয়। মাওলানা এনামুল হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইন্তেকালের ২ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯৩ সনে তাবলিগের কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি শুরা কমিঠি গঠন করেছিলেন। তন্মধ্যে ভারতের নিজামুদ্দিনের ছিলেন ৫ জন। পাকিস্তানের ৪ জন এবং বাংলাদেশের ১ জন। এ ১০ জন শুরা সদস্যের মধ্যে বয়স ও অভিজ্ঞতায় সবার ছোট ছিলেন মাওলানা সাদ কান্ধলভি। শুরা কমিটির ১০ জনের একজন হিসেবে তিনি বেশ কিছু দায়-দায়িত্ব পালনের সুযোগ লাভ করেন। এ সুযোগে তিনি তাবলিগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আনতে শুরু করেন এবং তার বক্তব্যে দেখা দেয় কুরআন-হাদিসের সঙ্গে নানা অসঙ্গতি। এতে করে অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে থাকে। আরও পড়ুন : উল্লেখযোগ্য ফতোয়া বিভাগগুলোর ওয়েবসাইট নাই কেন হজরত এনামুল হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক নির্ধারিত ১০ শুরা সদস্যরাও পর্যায়ক্রমে ইন্তেকাল করতে থাকেন। কিন্তু তাদের ইন্তেকালের পর নতুন কোনো শুরা সদস্য যুক্ত না হওয়ায় এক সময় তিনি তাবলিগ জামাতের একক মুরব্বি হয়ে উঠেন। তবে এই ইতিহাস নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা বিতর্ক আছে। দারুল উলুম দেওবন্দের সতর্কতা বিশ্ববিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদের বেশ কিছু বক্তব্যকে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে অগ্রহণযোগ্য বলে রায় দিয়ে তাকে নানা সময়ে সতর্ক করে আসছে। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জারি করা এক সতর্কবার্তায় মাওলানা সাদের কড়া সমালোচনা করেছে দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগ। দেওবন্দের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ফতোয়ায় বলা হয়, ’মুসলিমদেরকে, বিশেষ করে যারা তাবলিগ জামায়াতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর সঙ্গে আছেন তাদেরকে সাবধান করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে মাওলানা সাদ কান্ধলভী কুরআন ও হাদিসের কিছু বিষয়ে এমন সব ব্যাখ্যা দিচ্ছেন যা সত্য থেকে বিচ্যুত এবং আলেম উলামাদের সর্বসম্মত মতামতের বিরোধী।’ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে বিতর্কিত বক্তব্যের একাধিক অভিযোগ পেয়ে তা যাচাই বাছাইয়ের পর দেওবন্দ এই সিদ্ধান্তে আসে বলে জানানো হয়। ফতোয়ায় আরও বলা হয়, ‘যদি দ্রুত সাদ কান্ধলভীর ব্যাপারে সতর্ক না হোন, তাহলে মুসলমানদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিভ্রান্তিতে পতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানি, নদওয়াতুল উলামার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাইয়্যিদ সালমান আহমদ নদভী ও দিল্লির আইম্মা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুফতি ওয়াজাহাত কাসেমি এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন৷ দেওবন্দের চূড়ান্ত ফতোয়া চলতি ২০২৩ সালের জুন মাসে দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদের বিষয়ে চূড়ান্ত ফতোয়া জারি করে। তাতে বলা হয়- তারা এসে হজরত সাদ সাহেবের তরফ থেকে এই বার্তা পৌঁছালো, তিনি রুজু করার জন্য প্রস্তুত৷ তাই সিদ্ধান্তকৃত একটি কপি তাদের মারফত তার বরাবর পাঠানো হয়৷ তার পক্ষ থেকেও পত্রটির একটি জবাব মেলে৷ কিন্তু সামগ্রিকভাবে দারুল উলুম দেওবন্দ তার জবাব দ্বারা আশ্বস্ত হয় না৷ যার কিছুটা সবিস্তারে তার বরাবর পত্রের মাধ্যমে আবার পাঠানো হয়৷ আকাবির প্রতিষ্ঠিত তাবলিগ জামাতের পবিত্র কাজকে উল্টো ধ্যানধারণার সম্ভাবনা থেকে রক্ষা করতে, মাসলাকে আকাবিরের ওপর কায়েম রাখতে, তাবলিগের ফায়দা এবং হক্কানি উলামায়ে কেরামের মাঝে এর ওপর পূর্ণ ভরসা অবশিষ্ট রাখতে, নিজেদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মাদরাসা সংশ্লিষ্ট ও আলেমদের হজরত বরাবর উম্মাহর স্বচ্ছতাস্বরূপ সিদ্ধান্ত প্রেরণকে দীনি কর্তব্য ভাবে দারুল উলুম দেওবন্দ৷ আল্লাহতায়ালা এই মোবারক জামাতকে পূর্ণাঙ্গ হেফাজত করুন৷ আমাদের সবাইকে মাসলাক ও আমলের দিক থেকে হকপথে কায়েম থাকবার তৌফিক দিন৷ আমিন৷ বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ হক্কানি উলামায়ে কেরাম ও মাশায়েখগণের আবদার হলো, জনাব মাওলানা মুহাম্মদ সাদ কান্ধলবি সাহেবের চিন্তাচেতনার ব্যাপারে দারুল উলুম দেওবন্দ নিজেদের মতামত যেনো স্পষ্ট করে দেয়৷ হালে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নির্ভরযোগ্য বেশ কয়েকজন উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে চিঠিও মিলেছে৷ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও দারুল উলুম দেওবন্দের ইফতা বিভাগে প্রশ্ন এসেছে বহু৷ তাবলিগের ভেতরকার মতনৈক্য ও যাবতীয় ব্যবস্থাপনা কথা আলোচনা বৈ সরাসরি পেশ করতে চাই। গেলো বছর কয়েক ধরে ইস্তিফতা ও পত্র মারফত মাওলানা মুহাম্মদ সাদ কান্ধলবি সাহেবের মতাদর্শ-চিন্তাচেতনা সম্পর্কিত তথ্য দারুল উলুম দেওবন্দে মেলে৷ সেগুলো যাচাইয়ের পর স্পষ্টভাবে তার বয়ানে কুরআন ও হাদিসের ভুলত্রুটি তথা মারজুহ ব্যাখ্যা, গলদ ইস্তিদলাল, মনগড়া ব্যাখ্যা পরিলক্ষিত হয়৷ কিছু কথায় আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিস সালামের ব্যাপারে বেয়াদবিমূলক আচরণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে৷ অথচ অনেক ব্যাপার এমন রয়েছে, যার ফলে আলোচ্য ব্যক্তি জমহুরে উম্মাহ ও ইজমায়ে সালফের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যেতে থাকেন৷ বেশকিছু ফিকহি মাসায়েলেও তিনি গ্রহণযোগ্য দারুল ইফতাসমূহের দেয়া ফতোয়ার বিপরীত মূলনীতিহীন মত কায়েম করে আমজনতার সামনে তাগিদের সঙ্গে বয়ান করে থাকেন৷ তাবলিগ জামাতের কাজের গুরুত্ব তিনি এভাবে বয়ান করে থাকেন, যার মাধ্যমে দীনের অন্যান্য শাখার ওপর কঠোরভাবে দোষত্রুটি আরোপ করা এবং হীনতা প্রদর্শিত হয়; সালফে সালেহিনের দাওয়াতি পুরোনো পন্থার রদ ও অস্বীকার লাজিম আসে৷ ফলে আকাবির ও আসলাফের মাহাত্ম্যেও ঘাটতি, হীনতা প্রদর্শিত হয়৷ তার এই মতাদর্শ তাবলিগ জামাতের সাবেক দায়িত্বশীল হজরত মাওলানা ইলিয়াস সাহেব রহ., হজরত মাওলানা ইউসুফ সাহেব রহ., হজরত মাওলানা ইনামুল হাসান সাহেব রহ.-এর একেবারে বিপরীত৷ যে কারণে মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে চায় হেফাজতে ইসলাম তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে কেন নিষিদ্ধ করতে চায় হেফাজতে ইসলাম? এ বিষয়ে সদ্য অনুষ্ঠিত হেফাজতের সম্মেলন থেকে বলা হয়- ‘ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া অনুযায়ী ভারতের মাওলানা সাআদ সাহেবের বিভিন্ন বয়ান শরীয়তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং চরম বিতর্কিত ও তার মনগড়া চিন্তার ওপর প্রতিষ্ঠিত। তাই বাংলাদেশে মাওলানা সাদ সাহেবের আগমন স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। শুরায়ী নেজামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ওলামায়ে কেরামকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সহযোগিতা করতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে দেওয়া যাবে না। সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আজকের সম্মেলন জোর দাবি জানাচ্ছে। হেফাজতে ইসলামের বক্তব্যের প্রতিবাদে মাওলানা সাদের অনুসারীরা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এ দাবির প্রতিক্রিয়ায় ২৬ অক্টোবর পাঠানো বিবৃতিতে মাওলানা সাদের অনুসারীরা দাবি করে- ‘মাওলানা সাদ সাহেব ইন্ডিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় মজলিসে বয়ান করতে পারলে, উপস্থিত হতে পারলে, বাংলাদেশে আসতে পারবে না কেন?’ এছাড়া তারা বিভিন্ন যুক্তি পেশ করেন। নিষিদ্ধ ঘোষণার কী ব্যাখ্যা দিলো হেফাজতে ইসলাম হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা কিফায়েতুল্লাহ আজহারী আওয়ার ইসলামকে জানান, ‘মাওলানা সাদ একজন বাতিল মতাদর্শী। তার মাধ্যমে মুসলিম মহলে ফিতনা ছড়ায়। দারুল উলুম দেওবন্দেরও এ ব্যাপারে স্পষ্ট ফতোয়া রয়েছে। সে ফতোয়ার আলোকে তাকে বয়কট করা মুসলিম উম্মাহের জন্য জরুরি। তিনি বলেন, ‘তার বিভিন্ন বয়ান শরিয়তের সাথে সংঘর্ষিক এবং সমাজে চরম বিতর্ক তৈরি করে। এতে করে সাধারণ মুসলিম যারা দ্বীন মেনে জীবন চালাতে চায়, তাদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। তিনি এদেশে এলে শরিয়তের দিক থেকে বিভ্রান্তির ডালপালা আরো মেলবে। তার আসার দ্বারা যতোটা না ভালো, এরচে দ্বীনি ক্ষতি ও বিভ্রান্তি, বিশৃঙ্খলা তৈরি হবার আশংকা বেশি। আমাদের দেশের দ্বীনি কাজকে নিরাপদ করতে, সবাই যেন সুন্দর মত দ্বীনি কাজ করতে পারে, এজন্য আমাদের দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম তাকে এদেশে স্থায়ী নিষিদ্ধ করার আহ্ববান জানিয়েছেন।’ এদিকে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী’র কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ‘তাবলীগ জামাত শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবী জুড়ে একটি নীরব দাওয়াতি সংগঠন। সারা বিশ্বের মানুষ এর মাধ্যমে দ্বীনের ত্বরিকা-রাস্তা পেয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে যেহেতু তাবলিগ জামাতের দুইটা গ্রুপ হয়েছে, এক পক্ষ আরেক পক্ষের চরম মুখোমুখি। তিনি বলেন, গত ১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে টঙ্গীর ময়দানে বিশ্ব ইজতমোর প্রস্তুতি কাজে অংশগ্রহণ করার সময় উভয় পক্ষের মাঝে সংঘাত-সংঘর্ষ হয়। হতাহতের ঘটনাও ঘটে। তাই, আমরা মাওলানা সাদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলায় যেন নতুন করে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, সেজন্য তাকে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছি।’ কেএল/ |