মজলুমের জন্য দোয়া করবেন যেভাবে
প্রকাশ:
১৬ অক্টোবর, ২০২৩, ০৫:০৯ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
মহানবী স. সকল মুমিন নারী-পুরুষের জন্য ক্ষমা, বরকত ও কল্যাণের দোয়া করতেন। কারণ এ বিষয়ে মহান আল্লাহ আয়াত নাজিল করে বলেছেন, (হে রাসুল! আপনি) ক্ষমা প্রার্থনা করুন, আপনার নিজের জন্য এবং মুমিন পুরুষ ও নারীদের জন্য।' (সুরা মুহাম্মদ: ১৯) মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়া করার অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ স. বলেছেন— ‘যখন কোনো মুসলিম তার ভাইয়ের জন্য তার পশ্চাতে দোয়া করে, তখন তার (মাথার কাছে নিযুক্ত) একজন ফেরেশতা তাঁকে লক্ষ্য করে বলে, তোমার জন্যও এমনই হোক’। (সহিহ মুসলিম: ২৭৩২) খুব সহজ ও চমৎকার একটি আমল। ধরুন, আপনি অসুস্থ, ওই অবস্থায় আপনার অসুস্থ ভাইদের জন্য দোয়া করুন। এতে মিলবে কী? হাদিসের ভাষ্যমতে, আপনার জন্যও অনুরূপ দোয়া করবেন ফেরেশতারা। ধরুন, আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তো আপনার যেসব ভাই আপনার মতো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাদের জন্য আন্তরিকভাবে দোয়া করতে থাকুন, এর বিনিময়ে ফেরেশতারা আপনার নিরাপত্তার জন্য দোয়া করবেন। এছাড়াও অন্যের জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করতে পারা একজন মুমিনের হৃদয়ের স্বচ্ছতার একটি দলিল। কারো হৃদয়ে কুটিলতা থাকলে, সে অন্যের জন্য দোয়া করতে পারে না। মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়া করার আরেকটি বড় লাভ হচ্ছে এতে সীমাহীন সওয়াব আমলনামায় লেখা হয়। এ বিষয়ে রাসুল স. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, প্রত্যেক মুসলমানের বিপরীতে একটি করে সওয়াব মহান আল্লাহ তার আমলনামায় লিখে দেন।’ (তাবরানি: ৩/২৩৪) পবিত্র কুরআনে বর্ণিত দোয়া এই আয়াতের بعد অর্থে সাহাবায়ে কেরাম, মুহাজির ও আনসারগণের পরে কেয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী সকল মুসলিম শামিল আছে এবং এ আয়াত তাদের সবাইকে হকদার সাব্যস্ত করেছে। (ইবনে কাসির, ফাতহুল কাদির) তবে ইমাম মালেক বলেন, যারা সাহাবায়ে কেরামের জন্য কোনো প্রকার বিদ্বেষ পোষণ করবে বা তাদেরকে গালি দেবে তারা অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। (বাগভি) পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আরেকটি দোয়া কুরআনে বর্ণিত এই দোয়াটি আগের-পরের সব মুসলমানের জন্য দোয়া করার উৎকৃষ্ট নমুনা। এই দোয়ার মাধ্যমে কোটি কোটি মুসলিমের প্রত্যেকের একটি করে সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত নিয়মে সকল মুসলিমের জন্য দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন। এনএ/ |