গাজ্জায় এক ব্যাগ রুটির জন্য দীর্ঘ লাইন
প্রকাশ:
১৫ অক্টোবর, ২০২৩, ০৭:১০ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সংঘাত চলছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে। হামাসের হামলার পরপরই গাজ্জা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানিসহ খাবারের ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ দেয় ইসরায়েল। এরই মধ্যে বিদ্যুৎবিহীন অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে প্রকট হতে শুরু করেছে খাদ্যের অভাব। এক টুকরো রুটি খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে গাজায় বসবাসরত মানুষগুলো। পর্যাপ্ত পণ্য ও ময়দার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেকারিগুলো। যে কয়েকটি খোলা থাকে তাদের সামনে রুটির জন্য দীর্ঘ সারি রয়েছে। খান ইউনিসের বাসিন্দা ইয়াদ আবু মুতলাক আল জাজিরাকে বলেন, “আমি আমার পরিবারের জন্য রুটি নিতে অপেক্ষা করছি। লাইনটি এত দীর্ঘ ছিল, তা দেখে আমি একাধিকবার অবাক হয়েছি। আমি চারটি ভিন্ন বেকারিতে গিয়েছি, এবং প্রত্যেকটির বাইরে দীর্ঘ লাইন রয়েছে।“ তিনি আরও বলেন, “এই পরিস্থিতিতে কী করব জানি না। আমার পালা না হওয়া পর্যন্ত আমাকে এখানে বসে অপেক্ষা করতে হয়েছিল।” খান ইউনিসের আরেক বাসিন্দা আশরাফ ফাহমি আবু হামাদ আল জাজিরাকে বলেন, “পরিস্থিতি ভয়াবহ। আপনি দেখতে পাচ্ছেন, লোকেরা দীর্ঘ অপেক্ষা করছে, কিন্তু আটা, পানি বা তেল নেই। পরিস্থিতি অনেক কঠিন।” আশরাফ আরও বলেন,“আমরা এক ব্যাগ রুটি পেতে এক বা দুই ঘন্টা অপেক্ষা করছি। বেকারিতে আর ময়দা নেই। আমরা জানি না আমরা আগামীকাল রুটি পাবো কিনা।“ খান ইউনিসের কাছে পালিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিরা অভাবের মধ্যে সংগ্রাম করে জীবনযাপন করছেন। জ্বালানি ও গ্যাসের ঘাটতির মধ্যে গাজ্জার খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুতদের খাবার জোগাতে ফিলিস্তিনিরা জ্বালানি কাঠে রান্না করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের বোমা হামলায় হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এদিকে মিশরে, রাফাহ ক্রসিং সীমান্তের ওপারে গাজ্জায় প্রবেশের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে একটি ত্রাণবাহী কনভয়। বিবিসির প্রকাশিত কিছু ছবিতে দেখা যায়যে মিশর এবং তুরস্ক থেকে সাহায্যপণ্য বহনকারী লরিগুলির একটি দীর্ঘ লাইন ক্রসিংয়ের কাছে আরিশ শহরে অপেক্ষা করছে৷ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই সাম্প্রতিক দিনগুলিতে গাজ্জা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান বোমা হামলার কারণে চেকপয়েন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে মানবিক সংকটে পড়েছেন ফিলিস্তিনিরা। বর্তমানে চেকপয়েন্টটি দিয়ে গাজ্জা ত্যাগ বা প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এমনকি ইসরায়েলের অবরোধের পর থেকে সীমান্তে সাহায্য আটকে রাখা হয়েছে। যদিও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থাগুলি কর্তৃপক্ষকে তাদের সাহায্যপণ্য যেতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা টিএ/ |