অবশেষে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর, ২০২৩, ০৯:৪৮ সকাল
নিউজ ডেস্ক

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানায় অবশেষে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ সার কারখানা নির্মাণ হয় নরসিংদীর পলাশে। দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণের লক্ষে এই কারখানাটি গত ১২ অক্টোবর বিকেলে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। বছরে দেশে ইউরিয়ার চাহিদা রয়েছে ২৬ লাখ মেট্রিক টন। এটি পুরোদমে উৎপাদনে আসলে দেশেই উৎপাদিত হবে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া। বাকি ৬/৭ লাখ মেট্রিন টন ইউরিয়া কাফকো থেকে আমদানি করতে হবে।

২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর একনেকে অনুমোদন লাভের পর ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানাটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার কথা। কারখানা কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের দু-মাস আগেই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। দেশের একমাত্র পরিবেশবান্ধব কারখানাটি পরিবেশ দুষণকারী কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসকে ব্যবহার করে দশ ভাগ ইউরিয়া সারের উৎপাদন বৃদ্ধি করার আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। কারখানাটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর, শক্তি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব।

জাপানের এম এইচ আই ও চায়না সিসি সেভেন কোম্পানি কারখানাটি নির্মাণ করেন। কারখানাটি চালু হলে দেশের মেধাবীদের কর্মসংস্থানসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্সংস্থান হবে স্থানীয় পর্যায়ের কয়েক হাজার মানুষের। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে কারখানার পরীক্ষামূলক উৎপাদন সরেজমিন পরিদর্শনে এসে শিল্পমন্ত্রী জানান, আমাদের আকাঙ্ক্ষিত কারখানার উৎপাদন যথা সময়ে শুরু হয়েছে। এখন কৃষকেরা যাতে সারের পেছনে দৌড়াতে না হয় সেজন্য দ্রুতই কারখানাটি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এখন অনেক ব্যস্ত তথাপি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আনার জন্য যোগাযোগ চলছে। আশা করা যায় তিনি উদ্বোধন করবেন।

এটি পলাশবাসীর বহুল প্রত্যাশিত প্রকল্প হিসেবে মনে করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ বলেন, এর মাধ্যমে দেশের কৃষকদের সারের চাহিদা যেমন পূরণ হবে, তেমনি এই কারখানাটি সচল হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আশপাশের কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এসময় বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান জানান, জাপানের এম.এইচ.আই ও চায়না সিসি সেভেন কোম্পানির সহযোগিতায় এ কারখানাটি নির্মাণ করা হয়। কারখানাটি চালু হলে দেশের ইউরিয়া আমদানির নির্ভরতা কমে আসবে বলে মনে করেন বিসিআইসি।

এম আই/