মুসলিম কণ্যার সতিত্বে যুদ্ধে জয়
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর, ২০২৩, ০৮:৪৯ সকাল
নিউজ ডেস্ক

মুফতি আরিফুল ইসলাম

মদীনার মুসলমানরা এসেছিল সুদূর ইয়ামানের মাআ‘রিব শহর থেকে। শহরটি ছিল প্রাচযূর্যময়। কুরআনে বর্ণিত ঐতিহাসিক সাবা সম্প্রদায়েরও বসবাস ছিল ওখানে। একদিন আকস্মিক জলচ্ছাস সাবা সম্প্রদায়কে ঘ্রাস করে নেয়। এক ঘোষক ঘোষণা করে দেয়। অচিরেই আল্লাহর ভয়াবহ আযাব আসছে অত্র এলাকায়। ভয়াবহ সংবাদ তাদেরকে তাড়িয়ে বেড়ায়। জীবন বাঁচানোর তাগিদে জন্মভূমি পিছনে ফেলে মদিনা অভিমূখে রওনা করে বনু কায়লার দুই গোত্র আউস ও খাযরাজ।

মদীনায় আগে থেকেই বসবাস করত ইহুদি জাতি। ইহুদিদের কাছে আশ্রয় প্রার্থী হয়। হীনতর শর্তে বসবাসের অনুমতি দেয় ইহুদিরা। তোমাদের বংশে কারো বিয়ে হলে নববধূকে প্রথম রাতে আমাদের কাছে পাঠাতে হবে। নিরূপায় হয়ে শর্ত মেনে নেয়।

একটি আশ্চর্যজনক কান্ড ঘটে গেল প্রথম বিয়ে পর্বে যার মাধ্যমে ইয়াহুদীদের পৈশাচীক শর্ত থেকে আল্লাহ তাদের মুক্তি দেন। বিয়ে পর্বে পাত্রি হেজাব খুলে সবার সামনে বেরিয়ে আসে। এই অনাকাঙ্খিত বেপর্দা চরিত্র তার পরিবারের মুখে কালি মেখে দেয়। তাকে ভর্ৎষণা করতে থাকে। তখন মেয়েটির কণ্ঠচিড়ে বেরিয়ে আসে তার সতিত্তের ধ্বনী। “ধ্বংশ হও! তোমরা আমাকে আমার স্বামী ছাড়া অন্যের কাছে পাঠাচ্ছ? আমার পবিত্র শরীরে অবৈধ আচড় এর চেয়ে জগন্যতম। মেয়েটির কথা তীরের মত বিদ্ধ হয় তাদের শরীরে।

সকলেই অঙ্গিকারাবদ্ধ হয়। যেভাবে হোক কুপ্রথা ভাঙ্গতে হবে। প্রয়োজনে যুদ্ধ করে জীবন দিব কিন্তু অপমানকর শর্ত মেনে নিব না। পরস্পরে তমুল যুদ্ধ হয়। আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের বিজয় দান করেন। যুগে যুগে কিছু বীরঙ্গনারা গুনে ধরা সমাজকে জাগ্রত করে নিজেদের সত্তীত্বের পর্দা অটুট রেখেছে। আল্লাহ তাদেরকে কবুল করুক। আমীন (ফাতহুল মুলহিম)

লেখক : ইমাম ও খতীব