জামেয়া শামীমাবাদ পরিদর্শনে আল্লামা মুফতি সালমান মনসুরপুরী
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর, ২০২৩, ০৫:৩৩ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

গতকাল রোববার (৮ অক্টোবর) আসরের  নামাজের পর সিলেটের দ্বীনি বিদ্যাপীঠ জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া শামীমাবাদে আসেন ভারতের  দারুল উলুম দেওবন্দের সিনিয়র মুহাদ্দিস নায়েবে আমিরুল হিন্দ আওলাদে রাসুল আল্লামা সায়্যিদ সালমান মনসুরপুরী ।

জামেয়ার মসজিদ মিলনায়তনে কাজিরবাজার মাদ্রাসার সদরুল মুদাররিসীন মাওলানা আবদুস সুবহানের সভাপতিত্বে এবং মাদরাসার সদরুল মুদাররিসীন মুফতী সায়েম কাসেমী সঞ্চালনায় উপস্থিত আসাতিজা-তালাবা ও আগত মেহমানদের উদ্দেশ্যে তিনি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন।

তিনি তাঁর বয়ানে বলেন, জামেয়া শামীমাবাদ তার ব্যতিক্রমধর্মী খেদমতের কারণে ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে৷ নিঃসন্দেহে এর পেছনে জামেয়ার পরিচালকের হিম্মত ও যোগ্য আসাতিযায়ে কেরামের অবদান রয়েছে৷ বান্দা যখনই হিম্মত করে এবং মেহনত অব্যাহত রাখে, তখন আল্লাহ গায়েব থেকে সাহায্য করেন।

এজন্য আমাদের কর্তব্য হলো, বাহ্যিক উপকরণ অবলম্বনের পাশাপাশি আল্লাহর উপর পূর্ণ তাওয়াককুল (ভরসা) রাখা। তাওয়াক্কুলের অর্থ এই নয় যে, হাত-পা গুটিয়ে কেবল আল্লাহর উপর ভরসা করে ঘরে বসে থাকা।

হুজ্জাতুল ইসলাম আল্লামা কাসিম নানুতবী রহ. দারুল উলুম দেওবন্দ পরিচালনার জন্য উসূলে হাশতেগানা (অষ্ঠমূলনীতি) তৈরি করেছিলেন। এরমধ্যে এটিও ছিলো যে, মাদরাসার স্থায়ী কোন আয়ের উৎস থাকবে না। বরং আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে জনগণের চাঁদার সাহায্যে মাদরাসা চলবে। যতদিন আল্লাহর উপর ভরসা রেখে দ্বীনি এদারা পরিচালিত হবে, ততোদিন পর্যন্ত আল্লাহর সাহায্য আসতেই থাকবে। তবে যেকোনো সময় পেরেশানি বা কষ্টের সম্মুখীন হতে পারে, কিন্ত বিচলিত হওয়া যাবে না। কারণ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, নিঃসন্দেহে কষ্টের পর রয়েছে সুখ-সমৃদ্ধ।

বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মজলিশ সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। জামেয়ার মসজিদে সালাতুল মাগরিবে তাঁর ইমামতিতে উপস্থিত মুসল্লীরা নামাজ আদায় করেন। পরে মাদরাসার চলমান মসজিদ নির্মাণ কার্যক্রম ও মাদানী মসজিদ কমপ্লেক্সের জায়গা পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক উন্নতির জন্য দূয়া করেন।

এদিকে, সকাল ৮:২০ এর ফ্লাইটে তিনি সিলেট উসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান জামেয়ার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম হাফিয মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ সাহেব ও সদরুল মুদাররিসীন মুফতী সায়েম কাসেমী।

টিএ/