শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর, ২০২৩, ০৫:০৯ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশকে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরকে সেভাবেই ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের সফট ওপেনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এভিয়েশন খাতের নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, একসময় কক্সবাজার ও হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর হবে এশিয়ার আঞ্চলিক হাব। ভবিষ্যতে এখানে আরও একটা রানওয়ে করা হবে। কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সেখানে আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দর তৈরির কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বিমানে আন্তঃজেলা সংযোগের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। এজন্য দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোকেও অত্যাধুনিক করা হচ্ছে। এগুলো অত্যাধুনিক হলে সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী এসব বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চলবে।

সরকারপ্রধান জানান, দেশের এভিয়েশন খাতকে আরও উন্নত করার জন্য কিছু এয়ারবাস কেনা হবে। এজন্য কোম্পানিটি বাংলাদেশ সরকারকে লোন দেবে বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা বিগত সময়ে ক্ষমতায় ছিল তারা দেশের মানুষকে কিছু দিয়ে যেতে পারেনি। এভিয়েশন খাতের যত উন্নয়ন তা সবই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

সরকারের নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে দুই কোটির বেশি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। বেকার মাত্র ২ দশমিক। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনা হয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। আমরা গ্রামের মানুষকে নিয়ে কাজ করছি। দেশের ১০ কোটি মানুষকে সহায়তা করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন প্রথম ক্ষমতায় আসি তখন বিমানবন্দরে কোনো বোডিং ব্রিজ ছিল না। আমরা তখন এই বিমানবন্দরের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিই। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করি।

সরাসরি পাইপ লাইনে জেট ফুয়েল আসবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এতে সময় ও অর্থও বাঁচবে। এই প্রকল্পের কাজ চলছে বলে জানান তিনি। একদিন দেশের মানুষ চাঁদেও যাবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির পাশাপাশি স্মার্ট সমাজ তৈরিরও কাজ করছি।

নানা বাধা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে থার্ড টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। বিশেষ করে এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

টিএ/