বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান কামালের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর, ২০২৩, ১২:০৩ রাত
নিউজ ডেস্ক

হাবিব মুহাম্মাদ
লক্ষ্মীপুর সদর প্রতিনিধি 

সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লক্ষীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান  কামালের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বাদ আসর বিকেল ৫.৩০ মিনিটে লক্ষীপুর সামাদ স্কুল মাঠে  নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পূর্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সালাম নিবেদন করা হয় এবং এক মিনিট নিরবতা পালন করে শোক প্রকাশ করা হয়।

জানাযায় অংশগ্রহন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পৌর মেয়র এবং এমপি সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। মোবাইল কলে বক্তব্য প্রদান করেন সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমাদ। জানাযার নামজে ইমামতি করেন লক্ষ্মীপুর টুমচর আলিয়া মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা হারুন আল মাদানী সাহেব।

তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন ন্যাম ভবন প্রাঙ্গণে। সেখানে জানাজায় মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ ও সংসদ সদস্যসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন। 

পৌরসভার লাহারকান্দি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

আজ শনিবার ভোর ৩টা ১৯ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)  মৃত্যু কালে তার বয়স ছিল ৭৮ বছর।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।

 ১৯৭৩ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় জাতীয় সংসদে (সর্ব কনিষ্ঠ) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ থেকে তিনি পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা আ’লীগের সভাপতি, ২০১৪ থেকে ২০১৮ টানা দুই বার লক্ষ্মীপুর -৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি বেসরকারী বিমান ও পর্যটন পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে জনতা ব্যাংকের পরিচালক এবং ২০১১ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও তিনি এলাকায় বহু শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন।

শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আটিয়াতলি এলাকার ফরিদ আহমেদ ও মাছুমা খাতুন দম্পতির বড় ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

টিএ/