ল্যাপটপ ভালো রাখার ৭ কৌশল
প্রকাশ:
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৪:১৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
নাদিরুজ্জামান আজকাল সবাই ডেক্সটপ কেনার চেয়ে ল্যাপটপ কেনার প্রতিই বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে৷ এর গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ব্যাটারি ব্যাকআপ৷ যার ফলে লোডশেডিং হলেও ল্যাপটপে কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়। ল্যাপটপ ভালো রাখার ৭টি কৌশল : এক. আপনার ল্যাপটপটি সবসময় পরিষ্কার রাখুন। ল্যাপটপ ঠান্ডা রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো, ল্যাপটপটি সবসময় পরিষ্কার রাখা। এক্ষেত্রে কখনই অবহেলা করা যাবে না। কারণ আপনি আপনার ঘর যতই পরিষ্কার রাখুন না কেন, একটু করে হলেও প্রতিনিয়ত আপনার ল্যাপটপে ধুলোবালি প্রবেশ করবেই। আর ল্যাপটপের ভেতরে ধুলোবালি প্রবেশ করা মানেই আপনার ল্যাপটপকে ঠান্ডা রাখার জন্য যে কুলিং ফ্যান থাকে সেটির কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে ল্যাপটপ সহজেই গরম হয়ে যায়। দুই. চার্জিং ক্যাবল খুলে রাখুন। অলসতা অথবা অজ্ঞতা, যাই বলুন না কেন; আমাদের অনেকের মধ্যে এই প্রবণতাটি দেখা যায়৷ ফুল চার্জ হবার পরও আমরা যতক্ষণ কাজ করি ততক্ষণই চার্জার লাগিয়ে রাখি। অনেক সময় কাজ না করলেও ল্যাপটপ চালু রাখার সাথে সাথে চার্জারও লাগানো থাকে৷ এতে করে ল্যাপটপের ব্যাটারি অতিরিক্ত চার্জ বহন করার ফলে তা গরম হয়ে যায়। ব্যাটারি গরম হবার ফলে ল্যাপটপটিও গরম হতে থাকে। আর শুধু গরমই না, এর ফলে ব্যাটারিও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এর কার্যকারীতা বা স্থায়ীত্ব দিন দিন কমতে থাকে। তিন. সমান্তরাল ও শক্ত স্থানে রেখে ল্যাপটপ ব্যবহার করুন। বিছানায় শুয়ে-বসে, আরাম-আয়েশ করে কাজ করতে গিয়ে কেউ আবার আমার ওই ছোট ভাইয়ের মতো রান বা বিছানার উপর রেখে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে যাবেন না। কারণ এতে আপনার ল্যাপটপের ভেতরে নিচ থেকে বা সাইড দিয়ে কোনো ধরনের বাসাত ঢুকতে বা বের হতে পারে না। ফলে ল্যাপটপ দ্রুত গরম হয়ে পড়ে৷ ল্যাপটপ রাখার সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হলো সমান্তরাল ও শক্ত কোনো কিছুর উপর রাখা। সমান্তরাল কিন্তু নরম হলে চলবে না। এক্ষেত্রে টেবিলের উপর রেখে যাবতীয় কাজ করা সবচেয়ে উত্তম। এবং টেবিলটিও যেন সবসময় পরিষ্কার থাকে। আর ঘরের তাপমাত্রাও যেন প্রয়োজন অনুযায়ী ঠান্ডা থাকে। চার. ল্যাপটপের জন্য কুলার স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন।ল্যাপটপ যেহেতু একটি ইলেক্ট্রিট ডিভাইস, বিদ্যুতের সাহায্যে চলে তাই এটি গরম হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে অস্বাভাবিক হারে গরম হওয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে কুলার স্ট্যান্ড হতে পারে অত্যান্ত ভালো একটি মাধ্যম। পাঁচ. ল্যাপটপকে রেস্ট দেওয়া। আমরা মানুষ বলে আমাদের রেস্টের প্রয়োজন আছে আর ল্যাপটপ ইলেক্ট্রিক ডিভাইস বলে তার রেস্টের প্রয়োজন নেই, এমনটা নয়। আমরা যে ভুলটা সচরাচর করে থাকি তা হলো, সকালে ঘুম থেকে উঠে ল্যাপটপ চালু করে সারাদিন গেম বা কাজ করে থাকি৷ এর মাঝে আমরা নিজেরা রেস্ট নিলেও ল্যাপটপকে রেস্ট দেই না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ২৫/৩০ মিনিট ল্যাপটপটি পুরোপুরি বন্ধ থাকলে এটি গরম হওয়া থেকে রক্ষা পায়। ফলে এর কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পায়। ছয়. অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইন্সটল অথবা বন্ধ রাখুন। সবার আগে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, আপনি যে কাজ করার জন্য বা যে ধরনের গেম খেলার জন্য ল্যাপটপটি কিনেছেন সেই কাজ করার মতো ক্যাপাসিটি আপনার ল্যাপটপটির আছে কিনা? কারণ কারো উপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে কখনো ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আপনার ল্যাপটপ থেকে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার অর্থাৎ যেগুলো আপনার কখনই কাজে লাগে না, সেগুলো আনইন্সটল করে ফেলুন। এতে আপনার ল্যাপটপের প্রসেসরের উপর চাপ কমবে। সাত. সেটিংস এর মাধ্যমে ল্যাপটপ নিয়ন্ত্রনে রাখা। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে আমাদের ল্যাপটপের সাথে অনেক ধরনের এক্সটার্নাল ডিভাইস যুক্ত থাকে। যা প্রসেসর ও ব্যাটারির উপর চাপ প্রয়োগ করে। তাই অপ্রয়োজনীয় ডিভাইস গুলো ডিসকানেকটেড রাখাই সবচেয়ে উত্তম। এবং অপ্রয়োজনে সিডি বা ডিভিডি ডিভাইসে না রাখা, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই কানেকশন ইত্যাদি অপশনগুলো অপ্রয়োজনে বন্ধ করে রাখা উত্তম। আপনার ল্যাপটপটিকে ঠান্ডা রাখতে হলে আপনাকেই সবচেয়ে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে৷ আপনি ল্যাপটপের যত বেশি যত্ন নিবেন এটি আপনাকে তত ভালো এবং দীর্ঘ সময় সার্ভিস দিয়ে যাবে৷ লেখক : তরুণ আলেম ও সংবাদকর্মী |