মশা একবার উড়ে গেলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশ:
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৯:১৭ রাত
নিউজ ডেস্ক |
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মশা একবার উড়ে গেলেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কাজেই লার্ভা পর্যায়ে মশাকে ধ্বংস করতে হবে। আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে চীনের রাষ্ট্রদূতের ডেঙ্গুকিট হস্তান্তরকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, একটি মৃত্যুও আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। আমরা হাসপাতালে যথাযথ চেষ্টা করি প্রতিটি রোগীকে বাঁচানোর জন্য। যে চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিয়েছে, বিশ্বজুড়ে যে চিকিৎসা ব্যবস্থা গৃহীত, সেটাই আমরা নিচ্ছি। সেই ব্যবস্থাই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, যাতে কোনো ঘাটতি নেই। আমরা যেটা বারবার বলেছি, যখন দেরি করে আসেন রোগীরা, তখন আমাদের কিছু করার থাকে না। কাজেই দেরি করে না আসতে আমরা জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়াও যাতে পরীক্ষা করা হয় জ্বর হলেই। তাতে প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা চিকিৎসা দিতে পারি। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা। এটির একমাত্র উপায় হলো, মশা নিধন। সে জন্য প্রয়োজন পদক্ষেপ আরও জোরদার ও সারাবছরব্যাপী হওয়া দরকার। জাহিদ মালেক বলেন, শুধু যে মৌসুমে ডেঙ্গু দেখা দিচ্ছে, তখনই কেবল স্প্রে করলাম, সারাবছর স্প্রে করলাম না, তাতে কাজ হবে না। সে জন্য সারা বছর কাজ করতে হবে। যে ওষুধটা দেয়া হচ্ছে, সেটা সঠিক মান ও পরিমাণের হতে হবে, যাতে ওষুধগুলো কার্যকর হয়ে মশাটা মারা যায়। আর ঢাকায়ই পূর্ণ মনোযোগ দিলে হবে না, ডেঙ্গু পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। কাজেই সব পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনেও অনেক কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঢাকার মতো অন্য জেলা ও সিটি করপোরেশনে পদক্ষেপ নিতে হবে। বাড়িগুলো পরিষ্কার করতে হবে। পাকা বাড়িগুলোতে ডেঙ্গু বেশি হচ্ছে, যেখানে পাত্রে পানি জমে থাকে। আমরা সে কারণে এই বার্তা দিতে চাই, নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে হবে, সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, কথাটি বলেছি, কারণ ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে। এখন ৮০০ রোগী, এর আগে দেড় হাজার পর্যন্ত আমরা পেয়েছি। কিন্তু ঢাকার বাইরের অন্য জেলাগুলোতে বেড়েছে, সেখানে কমেনি। আমি আগেও এ কথা বলেছি। তিনি বলেন, ‘আমাদের যতটুকু দায়িত্ব আছে, সেটা পালনের চেষ্টা করছি। আমাদের প্রথম দায়িত্ব হলো, চিকিৎসা দেয়া। সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। আমরা চিকিৎসক, সেবিকাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি নেই, শয্যা আমরা বাড়িয়েছি। পাশাপাশি, সচেতনতামূলক কাজও করে যাচ্ছি। অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। টিএ/ |