শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নির্বাচনে যাচ্ছে ইসলামী দুই দল, প্রস্তুতি কেমন চলছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: আওয়ার ইসলাম

|| কাউসার লাবীব ||

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শেষ হচ্ছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সময়। ইতোমধ্যেই জল্পকল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কওমি মাদরাসা ভিত্তিক ইসলামী দুই রাজনৈতিক দল।

দল দু’টি হলো- হাফেজ্জী হুজুর রহ. প্রতিষ্ঠিত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী নেতৃত্বাধীন মুফতি আমিনী রহ. এর দল ইসলামি ঐক্যজোট।

শেষ সময়ে চমক দেখিয়ে নির্বাচনী ট্রেনে চড়া দল বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নির্বাচনের প্রস্তুতি কেমন চলছে? জানতে চেয়েছিলাম দলটির নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর কাছে।

তিনি জানান, বর্তমানে আমাদের মননোয়ন ফরম বিতরণ চলছে। আগামীকাল পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। বাছাই শেষে ২৯ তারিখ বটগাছ প্রতীকের চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কতটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন? জানতে চাইলে দলের এই সিনিয়র নেতা জানান, এখন পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত ‘সর্বোচ্চ অর্ধশত আসনে প্রার্থী দেওয়ার। সংখ্যা এর চেয়ে কমতে পারে। কিন্তু বাড়বে না।’

এদিকে আগে থেকেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা ছিল নির্বাচনী ট্রেন মিস করবে না মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী নেতৃত্বাধীন ইসলামি ঐক্যজোট। সে অনুযায়ী গত ২০ নভেম্বর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেয় দলটি। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও তফসিলের সময় পুনর্নিধারণের দাবি জানিয়েছিল দলের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেদিকে কর্ণপাত করেনি।

এদিকে মনোয়ন জমা দেওয়ার এই স্বল্প সময়ে কতটা গুছিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারছে ইসলামী ঐক্যজোট? জানতে চেয়েছিলাম দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হুসাইনের কাছে।

তিনি জানান, তফসিলের সময় পুনর্নিধারণ হলে সব রাজনৈতিক দলের জন্যই ভালো হতো। তবে আমরা নির্ধারিত সময়ে যেন কাজগুলো শেষ করতে পারি সেভাবেই এগুচ্ছি। মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। আজ ‘মিনার’ প্রতীকের চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কতটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে মুফতী আমিনী রহ. এর দল ইসলামী ঐক্যজোট? জানতে চাইলে দলের এই সিনিয়র নেতা জানান, আমরা দেড়শ’ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছি। যদিও সাড়ে তিনশ’র উপরে আমাদের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। সংগত কারণেই সবাইকে মনোনীত করা যাবে না। দলের বিবেচনায় যা কিছু উপকারী যেভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রয়েছে ১১টি ইসলামী দল। কওমি মাদরাসা ভিত্তিক এই দু’টি দল ছাড়াও ইতোমধ্যে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আরো ৫টি ইসলামী দল। দলগুলো হলো- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি।

অপরদিকে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচ্ছে না নিবন্ধিত অন্য চারটি ইসলামী দল। দলগুলো হলো- চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, শায়খ জিয়াউদ্দীন নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস।

তাদের মতে, ২০১৪-১৮ সালে অনুষ্ঠিত দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তাই এই নির্বাচনও দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে না। তাই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমাদের নেই।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এরপর ৩০০ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ