আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষ যে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করছে, তা মির্জা ফখরুল বা বিএনপির পছন্দ নয়। মানুষ যে আবেগ-উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উৎসব উদযাপন করছে, তা সবসময়ই বিএনপির গাত্রদাহ।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিতে দুর্ভিক্ষ চলছে। তাদের রাজনীতিতে গণবিচ্ছিন্নতার দুর্ভিক্ষ রয়েছে বলেই তারা জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অক্ষম। বিএনপির রাজনীতি বদ্ধ জলাশয়ের মতো।’
‘দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে’—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে আজ রোববার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। শহর থেকে মানুষ গ্রামে যাচ্ছে, যার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতিবাচক বক্তব্য তাদের সেই চিরাচরিত গাত্রদাহের প্রতিফলন। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কখনোই মিথ্যা তথ্য দেয়নি। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, ইউএনডিপিসহ বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা এসব তথ্য আমলে না নিয়ে প্রতিদিন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নিজেদের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি রাজনীতিতে নতুন কোনো ধারা সৃষ্টি করতে পারেনি। বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় ক্ষুধা-দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষ পীড়িত দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। তাদের সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা লেগেই থাকত। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা আজ নির্বাসিত। দেশে অতি দ্রারিদ্র্যের হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের শাসনামলের দুর্ভিক্ষের দুঃস্বপ্ন জাতিকে দেখানোর অপচেষ্টা করছেন। আজ খাদ্যের অভাবে দেশের কোথাও কোনো প্রাণহানি ঘটেছে? ঘটেনি। দুর্ভিক্ষে মৃত্যুবরণ করেছে এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তালিকা বা নাম কি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে আছে? নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের চিরায়ত ভঙ্গিতে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বয়ানের মাধ্যমে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে, নৈরাজ্য সৃষ্টির উসকানি দিচ্ছে।’
কেএল/