আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলাম বরাবরই ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহ করে। একান্ত নিরুপায় না হলে পারতপক্ষে কারো কাছে ভিক্ষার হাত বাড়ানো নিন্দনীয়। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ওপরের হাত নিচের হাত অপেক্ষা উত্তম। ওপরের হাত দাতার, আর নিচের হাত ভিক্ষুকের। (বুখারি, হাদিস : ১৪২৯)
তবে একেবারে নিরুপায় হলে ভিক্ষা করা যায়। কিন্তু সেটাও হতে হবে প্রয়োজন মাফিক। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কারো কাছে যদি প্রয়োজন মেটানোর মতো কিছু থাকে এতদসত্ত্বেও যে লোকের কাছে ভিক্ষা চায়, তবে কিয়ামতের দিন সে এভাবে উপস্থিত হবে যে ভিক্ষাবৃত্তির কারণে তার চেহারায় খামচানোর বা মারের বা আঘাতের ক্ষতচিহ্ন থাকবে। বলা হলো, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) কী পরিমাণ সম্পদের কারণে একজন অমুখাপেক্ষী হবে? তিনি বললেন, পঞ্চাশ দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) বা সে পরিমাণ মূল্যের স্বর্ণ। (তিরমিজি, হাদিস : ৬৪৭)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আহমদ ইবন সুলায়মান (রহ.)...আমর ইবন শুআয়ব (রহ.) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সাহায্য চায় অথচ তার চল্লিশটি দিরহাম রয়েছে সেই পীড়াপীড়িকারী। (নাসায়ি, হাদিস : ২৫৯৪)
ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত নামক গ্রন্থে মহরের আলোচনায় ১০ দিরহাম রুপার হিসাব দেখানো হয়েছে ২.৬২৫ তোলা। সেই হিসাবে ৪০ দিরহাম রুপার পরিমাণ দাঁড়ায় ১০.৫ তোলা। আর যদি ৫০ তোলার হাদিসের আলোকে হিসাব করা হয়, তাহলে দাঁড়ায় ১৩.১২৫ তোলা।
অর্থাৎ কারো কাছে এই পরিমাণ রুপার মূল্যের সমপরিমাণ সম্পদ থাকলে তার জন্য ভিক্ষা করা জায়েজ হবে না। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত ৬/২৪৪)
-একে