আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু চাইলেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
তিনি বলেছেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তদানিন্তন পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হয়েছেন। জনগণ তাকে রায় দিয়েছিলেন পাকিস্তান শাসন করার জন্য। তিনি ইচ্ছে করলেই গোটা পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে জয়পুরহাটের কালাই ময়েন উদ্দীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক ক্যাম্পে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, 'বঙ্গবন্ধু মেজরিটি পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেননি। কারণ বেঈমানি বিশ্বাসঘাতকতা বঙ্গবন্ধুর রক্তে ও রাজনীতিতে নেই। বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের অধিকার প্রশ্নে অটুট ছিলেন বলেই পাকিস্তানীরা তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। মেজরিটি পার্টির নেতা হিসেবে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। কারণ রাজনীতি হুট করে করার বিষয় নয়।'
তিনি আরও বলেন, 'রাজনীতি কখনো মাথা গরমের জায়গা নয়। রাজনীতিতে একটি সিস্টেম আছে। দেশ এবং বহিবিশ্বের সাপোর্টের বিষয় আছে। তাই তিনি ৭ই মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে বলেছেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। ৭ই মার্চে তিনি জাতিকে জানিয়ে দিয়েছেন আমাদের কোন দিকে যেতে হবে।'
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে জাতীয় সংসদের হুইপ বলেন, ‘যখন পাক হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ কালো রাতে ঢাকায় গণহত্যা শুরু করল, তখনই তিনি মোক্ষম সময় পেয়ে রাত ১২টার পর পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসেবে, বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত ও সাংবিধানিক নেতা হিসেবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র ঘোষণা তথা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। স্বাধীনতার ঘোষণা করা নৈতিক, রাজনৈতিক এবং জনসমর্থন কেবল মাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবেরই ছিল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে তার কন্যা বাংলার মহান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাট জেলাকে আগামী ৫বছরে দেশের মধ্যে একটি রোল মডেল জেলা হিসেবে উন্নীত করা হবে।'
-এসআর