আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ‘আইন ব্লিক জাগ্ট মেয়ার আলস থাউজেন্ট ভরটে’ জার্মান ভাষার এ কথাটির মানে হলো এক পলক হাজারো শব্দের চেয়েও বেশি কথা বলে। কিন্তু এই চোখই যখন পৃথিবীর সবকিছু আর স্বচ্ছভাবে দেখতে পায় না তখন আমাদের জীবনে আর দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
বর্তমান সময়ে কম বেশি আমরা সবাই চোখের দৃষ্টিগত সমস্যায় ভুগছি। চোখের সমস্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো চোখে ঝাপসা দেখা। এ সমস্যা যদিও বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে বর্তমানে ছোটদের পাশাপাশি তরুণরাও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
যদি এ সমস্যার শিকার আপনিও হন তবে শিগগিরই আপনার লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জটিল কোনো রোগ না থাকলে চোখের এই ঝাপসা দেখা বা ক্ষীণ দৃষ্টিকে বাড়ানোর কিছু উপায় রয়েছে বলে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের গবেষকরা মনে করেন।
তারা বলেন, ওষুধ খাওয়া বা চশমা পড়ার পাশাপাশি আপনি যদি ইয়োগা, প্রাণায়াম আর চোখের কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম নিয়মিত করেন তবে এ সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়া আপনি যে নিয়মগুলো মেনে চলবেন তা হলো-
এক. মোবাইল, কম্পিউটার, টিভির ক্ষতিকর তেজক্রিয় রশ্মি থেকে চোখকে দূরে রাখুন।
দুই. ভিটামিন এ জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি পেঁপে, কাঁঠাল, কুমড়া, কালো কচু শাক, হেলেঞ্চা শাক, পুঁই শাক, লাউ শাক, ধনিয়া পাতা, পাট শাক, গাজর, মিষ্টি আলু, ডিম, কলিজা, মলাঢেলা ছোট্ট মাছ ইত্যাদি খান।
তিন. সব সময় চোখকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
চার. ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, বিটা ক্যারোটিন ও লিউটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে বিশেষ উপকারী।
পাঁচ. ডিমের সাদা অংশ ছাড়াও সবুজ শাক-সবজিতেও থাকে প্রচুর লিউটিন। এসব খাবার ডায়েট লিস্টে রাখুন।
ছয়. চোখের জ্যোতির জন্য ক্ষতিকর যেমন সুগার, প্রক্রিয়াজাত ময়দা, ট্রান্সফ্যাট ও ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
সাত. চোখের জন্য এরোবিক ব্যায়াম খুব কার্যকরী। তাছাড়া সাঁতার ও টেনিস খেলা চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকটাই।
সূত্র: আজ তাক বাংলা
টিএ/