শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ২৫ নভেম্বর ‘আলেমদের নেতৃত্বেই কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব’ বইমেলায় ‘সঠিক নিয়মে হাতের লেখা প্রশিক্ষণ বাংলা’-এর মোড়ক উম্মোচন সিলেটে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সমাবেশ শনিবার সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আলেম রাজনীতিবিদরা খালেদা জিয়াকে পেয়ে সেনাকুঞ্জ গর্বিত: প্রধান উপদেষ্টা লক্ষ্মীপুর মারকাযুন নূরে ১১ মাসে হাফেজ হল ১১ বছরের শিশু আফসার যেসব অভ্যাস নীরবে মস্তিষ্কের ভয়াবহ ক্ষতি করে বৈষম্য ও অন্যায় নির্মূলে খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই: মজলিস আমীর আওয়ামীলীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান খেলাফত মজলিসের

আধুনিক আবিস্কৃত নেশাদ্রব্য বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক প্রশ্ন: আমি জানতে চাই সারা বিশ্বে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবহৃত বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের ব্যাপারে শরীয়াহর বিধান কী? নিম্নলিখিত নিয়মগুলি কী কী (হালাল, হারাম, মাকরূহ): ১: হাশিশ ২: আফিম ৩: পান ৩: নাসক (ধোয়া ছাড়া ধূমপান) ৫: ঘোটকা ৬: ভাপ এবং ভেলো (আধুনিক মাদকদ্রব্য) ৭ মদ্যপান ৮: নন-অ্যালকোহল ৯: তামাক এবং গাঁজা, হেরোইন। আর যদি সত্যিই প্রয়োজন হয়, তাহলে উপরোক্ত ওষুধের কোনোটি কি ব্যবহার করা কি জায়েয হবে?

উত্তর নং: 611893
পরম করুণাময়, পরম করুণাময় আল্লাহর নামে
ফতোয়াঃ 1201-995/B=10/1443

মূলনীতি হল প্রতিটি নেশা ইসলামে হারাম। كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ। হাসির (নেশা) সৃষ্টিকারী সবকিছুই হারাম। নেশাখোর হল সেই ব্যক্তি যার বুদ্ধি শুঁকে খাদ্য ও পানীয়ের শুঁকে আচ্ছন্ন হয়ে যায় যতক্ষণ না সে জানে আকাশ ও জমিন, আকাশই পৃথিবী এবং পৃথিবীই আকাশ। আর দ্বিতীয়টি হল হিদ্দাত (দ্রুততা) অর্থাৎ খাওয়া-দাওয়া মানুষের মনকে আচ্ছন্ন করে না। যাইহোক, তন্দ্রা বা অজ্ঞান হওয়ার শক যা কিছুক্ষণ স্থায়ী হয় তা নেশা সৃষ্টি করে না।

যেমন সিগারেট খাওয়া, হুক্কা ধূমপান করা, তামাক খাওয়া বা শুঁকা বা গুটকা খাওয়া, অল্প পরিমাণে আফিম খাওয়া। এগুলো মাকরুহ। আর সব ধরনের অ্যালকোহল হারাম। মদও হারাম। মদ দিয়ে যে কোনো নেশা হারাম। আর এমন সব জিনিস ব্যবহার করা মাকরূহ, যাতে নেশা নেই, তবে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যবহার করা যাবে ওষুধ হিসেবে। আমরা গোটকা, ভাপা এবং ভেলো, শিশা, গাঁজা, হেরোইনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন নই। তাই এগুলো থেকে বিরত থাকাই উত্তম। আর আল্লাহই ভালো জানেন

দারুল ইফতা,
দারুল উলূম দেওবন্দ

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ