আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আসন্ন রমজান উপলক্ষে সর্ববৃহৎ পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের পরিচালনা পর্ষদ।
গত ২ মার্চ তা তুলে ধরেন মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস। পরিকল্পনা অনুসারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মসজিদে আগত ৩০ লাখ মুসল্লির জন্য ১২ হাজারের বেশি কর্মচারী সার্বক্ষণিক সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।
শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস বলেছেন, ‘আসন্ন রমজানে মুসল্লিদের সর্বোচ্চ মানের সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মুসল্লিদের মসজিদে পৌঁছার পর তাদের সেবা দেওয়াই এ পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্য।
তাওয়াফ, সায়ি, নামাজের স্থান, ইতিকাফ, রওজা শরিফে নামাজ পড়াসহ সব স্থানে সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করা হবে। বিশেষত অসুস্থ, বয়স্ক, স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সহযোগিতা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা। এবার তাদের জন্য বিশেষ মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ পরিবেশের ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক ভাষায় মুসল্লিদের দিকনির্দেশনা প্রদান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করাসহ নানা ধরনের সেবামূলক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া পুরো মসজিদ প্রাঙ্গণ সার্বক্ষণিক পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রতিদিন অন্তত ১০ বার বিশেষ ধৌত কার্যক্রম পরিচালিত হবে। মসজিদের বিভিন্ন করিডরে প্রতিদিন অন্তত পাঁচ লাখ লিটার জমজমের পানি বিতরণ করা হবে।
শায়খ আল-সুদাইস আরো বলেন, রমজানবিষয়ক ধারাবাহিক আলোচনা প্রগ্রাম ‘মানারাতুল হারামাইন’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১০ ভাষায় তাত্ক্ষণিক অনুবাদ সমপ্রচার করা হবে।
বিশেষত এবারের রমজানে নারী মুসল্লিদের জন্য ২৩টি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সর্বাধিক মুসল্লির স্থান নিশ্চিত করতে মসজিদের প্রবেশ পথ, আশাপাশের প্রাঙ্গণসহ বিভিন্ন স্থান নামাজের জন্য প্রস্তুত করা হবে। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল সব বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করা হবে।’ সম্মানিত মুসল্লিদের সেবা দেওয়া সৌদি জাতির জন্য সম্মান ও গৌরবের বলে জানান তিনি। সূত্র : জেনারেল প্রেসিডেন্সি
-এটি