আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:।। সম্পদের মোহের ব্যাপারে একটি বিষয় বলতে চাই। আমদের মাদরাসার ছাত্রদের একটি বড় অংশের দায়িত্ব মাদরাসার পক্ষ থেকে পালন করা হয়।
তাদের যাবতীয় খরচাদি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বহন করে। এগুলো যাকাত- সদকার ফান্ড থেকে করা হয়। যারা প্রকৃতি অর্থেই যাকাত খাওয়ার উপযুক্ত তাদের জন্য এটা হালাল। কিন্তু যেসব ছাত্র যাকাত খাওয়ার উপযুক্ত না তাদের জন্য এই সম্পদ হারাম।
আমাদের মাদরাসাগুলোতে আরেকটি দৃশ্য দেখা যায়, যারা যাকাতের সম্পদ খেতে খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে তারা পরবর্তী সময়ে যখন সম্পদশালী হয় এবং যাকাতের সম্পদ খাওয়ার আর উপযোগী থাকে না তখনও এই সম্পদের প্রতি লালায়িত থাকে। তালিবুল ইসলামের এই প্রবণতা থেকে বাঁচা খুবই জরুরি।
আব্বাজান রহ. এর মুখ থেকে এই হাদিসটি শুনেছি। রাসূল সা.বলেন, যাকাতের সম্পদ যখন অন্য সম্পদের সঙ্গে মিলে তখেই সেই সম্পদকে ধ্বংস করে দেয়।’
আব্বাজান রহ. এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, এর দুটি পদ্ধতি। একটি হলো কারও ওপর যাকাত ফরজ ছিল কিন্তু সেই ব্যক্তি যাকাত আদায় করেনি। তখন যাকাতের ওই সম্পদ অন্য সম্পদের সঙ্গে মিশে তাকে ধ্বংস করে দেবে। তার ওপর নানা রোগ-বালাই, মসিবত আসতে থাকবে যাতে লাখো টাকা খরচ হয়ে যাবে।
আরেকটি পদ্ধতি হলো, কারো কাছে এই পরিমাণ সম্পদ আছে যার কারণে তার যাকাত খাওয়া জায়েজ নেই। কিন্তু লোভের কারলেণ সেই ব্যক্তি যাকাতের সম্পদ নিলো এবং তা অন্য সম্পদের সঙ্গে মিলে ওই সম্পদকেও ধ্বংস করে দেবে। এজন্য সম্পদের লোভ থেকে সবার বেঁচে থাকা উচিত। সূত্র: খুতবাতে ফকীহুল ইসলাম
-এটি