আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শাবানের ১৫তম রাত শবে বরাত। ‘শব’ শব্দটি ফার্সি। এর অর্থ রাত। আর ‘বরাত’ শব্দটি আরবি ও ফর্সি উভয় ভাষাতেই ব্যবহৃত হয়। অর্থ : মুক্তি। তথা জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত হলো ‘শবেবরাত’। এই রাতের তাৎপর্য ও ফজিলত অনেক বেশি। তবে শবে বরাতের নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত ও আমল নেই। তবে শবে বরাতে ইবাদতের সাথে নানান ধরনের ভুল কাজও করে থাকি আমরা। সেইসব কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
জেনে নিন শবে বরাতে যেসব কাজ করা যাবে না:
শবে বরাতের সঙ্গে হালুয়া-রুটির একটি সম্পর্ক পরিলক্ষিত হয়। অথচ শবে বরাত হলো ইবাদতের রাত। দান-খয়রাত করা ও মানুষকে খাওয়ানো এক প্রকার ইবাদত। তবে এই দিন ও রাতকে হালুয়া-রুটিতে পরিণত করে ইবাদত থেকে গাফেল হওয়া মোটেই ভালো কাজ নয়।
আমাদের দেশে শবে বরাত এলে পটকা ফোটানো, কবর ও মাজারে মোমবাতি/আগরবাতি জ্বালানো, আলোকসজ্জা করা ইত্যাদি রেওয়াজ বেশ পুরোনো। অথচ এগুলো সম্পূর্ণ হারাম। অনেকে দল বেঁধে সারারাত ঘুরে বেড়ান, গল্প করে আড্ডা মেরে রাত পার করে দেন। একটি পুণ্যময় রাতকে এভাবে অবহেলায় নষ্ট করা মোটেও উচিত নয়।
অনেকে আবার সারা রাত নফল নামাজ পড়ে, ইবাদত-বন্দেগি করে ঘুমিয়ে যান। ফজরের ফরজ নামাজ তখন কাজা হয়ে যায়। অথচ ফরজ নামাজ না পড়ার ক্ষতি পৃথিবীর কোনো কিছু দিয়েই পূরণ করা যাবে না। সুতরাং নফল ইবাদত ততটুকুই করা উচিত, যতটুকু করার দ্বারা ফরজের কোনো ক্ষতি না হয়।
যাদের গুনাহ ক্ষমা হবে না
হাদিস শরিফে আছে, শবে বরাতে আল্লাহ তাআলা সবাইকে মাফ করবেন, তবে শিরককারী (আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক বা অংশীদার করা) ও আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নকারীকে ক্ষমা করবেন না। অন্য বর্ণনায় এসেছে, শবে বরাতে আল্লাহ তাআলা সবাইকে মাফ করবেন তবে শিরককারী (অংশীবাদী) ও হিংসাকারীকে ক্ষমা করবেন না। তা্ই হংকার পরিত্যাগ করি, কেননা অহংকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না (বায়হাকি, শুআবুল ইমান)।
আল্লাহ তালা আমাদের সবাইকে নেক আমল করার তৌফিক দিন, সবার নেক উদ্দেশ্য পূরণ করুন, সবা্ইকে নেক হায়াত দিন। আমাদের সকল মুনাজাত কবুল করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।
-এসআর