আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আগামী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) জাতীয় ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা অনুমান করেছি, বাস্তবতার নিরিখে, ভোট যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তখন ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। আমরা আশা করি, আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। সেখানে উপস্থিতি যথার্থ হবে। জেলা পরিষদে আমাদের উপস্থিতি ছিল ৯৯ শতাংশ, সেখানে ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে ভোট হয়েছে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে, কারণ সেখানে সময় বাকি আছে মাত্র ১০ মাস। আর সত্যিকার অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। আপনারা ইউনিয়ন কাউন্সিলর ভোট দেখেছেন, সেখানে কিন্তু উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল এবং ইভিএমে হয়েছে।’
সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি হয়, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা দায়িত্ব রয়েছে। তাদের সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা ভোটটা আয়োজন করব।
আমরা আপনাদের ব্যালট পেপার সাপ্লাই করব, বক্স সাপ্লাই করব এবং আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক যে সংস্থাগুলো আছে, আমরা তাদের স্ট্রিকলি বলে থাকি, আপনারা ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রত্যাশিত আইনশৃঙ্খলা এবং অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। তাই দায়িত্বটি কার? দায়িত্বটি সামগ্রিক সমন্বয়ের। এটা আপনাদের অনুধাবন করতে হবে। এককভাবে এই দায়িত্ব কখনোই নির্বাচন কমিশনের নয়।’
আগামী ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আশাবাদ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ওই সমস্ত প্রশ্নে আমি কোনো মন্তব্য করব না। ২০১৮ এবং ২০১৪ সালে কী হয়েছে, সেগুলো আমরা দেখব না। আমরা সামনের দিকে এগোচ্ছি। আমাদের জন্য আপনাদের শুভ কামনা রাখবেন, যেন আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বটা আগামীতে সুচারুরূপে পালন করতে পারি।’
দলগুলো কি ভোটের দিকে এগোচ্ছে–এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা আগেও বলেছি, তাদের প্রতি আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি—আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মধ্যে যদি মতপার্থক্য থাকে, সেটা আপনারা নিরসন করার চেষ্টা করুন। কারণ, নির্বাচন কমিশন মুরুব্বিয়ানা করতে পারবে না।
কিন্তু আমরা বিনীতভাবে সকল রাজনৈতিক দলকে বলব, আপনারা যেকোনো প্রকারেই হোক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন, যাতে এই ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে এক ধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।’
-এটি