আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কালোবাজারি বন্ধে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। এতে যাত্রীদের হয়রানি ও কষ্ট বাড়বে।
আজ সকাল সাড়ে আটটায় কমলাপুর স্টেশনে নতুন পদ্ধতির টিকিটিং ব্যবস্থার উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
যাত্রীকে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে আগাম নিবন্ধন করে টিকিট কিনতে হবে। শুধু অনলাইন নয়, আগাম নিবন্ধন না করলে কাউন্টার থেকেও টিকিট পাওয়া যাবে না। ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরুর পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অনলাইনে ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৭ জন এবং মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে ৭ হাজার ১৩ জন নিবন্ধন করেছেন।
রেলের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ছাড়াও বিআর লিখে স্পেস দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে ২৬৯৬৯ নম্বরে এসএমএস করে নিবন্ধন করা যাচ্ছে। বিদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে। অনেকেই মোবাইল বা প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী নন। টিকিট কেনার পদ্ধতি কঠিন হলেও এতে আয় বাড়বে বলে আশাবাদী রেলওয়ে। আগেও একবার এনআইডি দেখিয়ে আন্তঃনগর ট্রেনে প্রথম শ্রেণির টিকিট কেনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তাতে বেশি সময় লাগায়, স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ সারি তৈরি হয়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ হয়েছিল।
রেল মন্ত্রণালয় সেবা বাড়ানোর কথা বললেও যাত্রীদের জন্য আসলে টিকিট কেনার প্রক্রিয়াটি জটিলই করে দেওয়া হচ্ছে। ট্রেনের টিকিটের অর্ধেক অনলাইনে এবং বাকিটা অফলাইনে বা কাউন্টার থেকে বিক্রি হয়। কিন্তু অফলাইনে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা নগণ্য। যে যাত্রীদের জন্য কালোবাজারি বন্ধের উদ্যোগ, সেই যাত্রীদের হয়রানিই বেড়ে গেল। এমনকি নতুন নিয়মের কারণে দেশের কোনো কোনো নাগরিকের পক্ষে এই সেবা নেওয়াও সম্ভব হবে না।
আর যারা নেবেন, তাদের কাউকে কাউকে পকেটের বাড়তি টাকাও খরচ করতে হতে পারে। টিকিট বিক্রির চুক্তির অংশ হিসেবে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেলওয়েকে পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) মেশিন বা পজ মেশিন দেবে। এই মেশিন নিয়ে টিকিটে যাত্রীর নাম ও সনদ মিল আছে কিনা তা পরীক্ষা করবেন রেলের কর্মকর্তারা।
-এসআর