আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কোটা পূরণ না হওয়ায় এ বছর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সবশেষ ক্রমিক আগের সিরিয়াল বহাল রেখে ৪৫ হাজার ৫১৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সবশেষ ক্রমিক আগের সিরিয়াল বহাল রেখে ৮ লাখ ৪৬৭ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কোটা পূরণ না হওয়ার কারণে হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আমাদের নিয়ম হলো কোটা পূরণ না পর্যন্ত পর পর ডাকতে থাকব। কারণ অনেক হাজি অপেক্ষমান তালিকায় আছেন। তবে আমাদেরও একটা সময় আছে। যতক্ষণ সুযোগ আছে, দিচ্ছি।’
এরআগে, এ সময়সীমা ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, এ সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনের জন্য বার্তা (মেসেজ) পেয়েছেন- এমন সবাই নিবন্ধন করতে পারবেন। আগে নিবন্ধনের সময়সীমা ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি।
সৌদি সরকার এ বছর হজযাত্রীদের ভিসার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক তথা আঙুলের ছাপ পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে। এ জন্য হজযাত্রীদের ভিসার জন্য পাসপোর্ট আপাতত নিজের কাছে রাখতে বলা হয়েছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভিসার আবেদন সাবমিট করার জন্য বাংলাদেশের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও অবশিষ্ট ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
চলতি বছর সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। আর বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
টিএ/