আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: 'মাননীয় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আগ্রহেই কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হাওরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস করা হচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনানিবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কথা বলেছেন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে তিনি হেলিকপ্টারযোগে সরাসরি সেনানিবাসে অবতরণ করেন। সেনা সদস্যদের প্যারেডে সালাম গ্রহণের পর সেনানিবাসের উদ্বোধন শেষে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ সেনানিবাস হাওরবাসীর নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাকে প্রশাসনের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে- তা আগের ২৯ বছরেও হয়নি। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকার কারণেই এমন উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, 'মিঠামইনের দুর্গম এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সে জন্য তার নামে এই সেনানিবাস করা হয়েছে।’ বিশ্বমন্দা মোকাবেলায় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখা যাবে না।’
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে হাওরাঞ্চলজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মিঠামইন সদরের সমাবেশস্থল লোকে লোকারণ্য। এর মধ্যেই কানায় কানায় মাঠ ভরে গেছে। হাওরের তিন উপজেলা- ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামসহ কিশোরগঞ্জ জেলার সব উপজেলা থেকে আসা আওয়ামী লীগের লাখো নেতা-কর্মীর খণ্ড খণ্ড মিছিলে মিঠামইন সদর সরগরম হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ একদিন আগেই তার বাড়ি মিঠামইন সদরের কামালপুর পৌঁছেছেন। রাষ্ট্রপতির বাড়িতে আজ মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
-এসআর