আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মেট্রোরেলের সঙ্গে সমন্বয় করেই পূর্বাচল হাইওয়ের কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
তিনি বলেন, এমআরটি (ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট) লাইন ১ প্রকল্পের কাজের জন্য পূর্বাচল হাইওয়ের তেমন ক্ষতি হবে না।
আজ রবিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এমআরটি লাইন-৫ দক্ষিণ রুটের অংশীজন সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব।
আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, আপনারা দেখবেন রাজউক ৩০০ ফুট রাস্তার দুই দিকে লাইট লাগিয়েছে। কিন্তু রাস্তার মধ্যে (মাঝখানে) লাইট লাগানো হয়নি। এখন কি প্রশ্ন জাগে না, কেন লাইট লাগানো হয়নি? কারণ আমাদের মধ্যে সমন্বয় হয়েছে। মাঝ দিয়ে মেট্রো রেলের লাইন যাবে বিধায় লাইট লাগানো হয়নি। এটাই সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত। কারণ পৃথিবীর সব দেশেই রাস্তার মাঝে লাইট লাগানো হয়, যা এখানে লাগানো হয়নি।
তিনি বলেন, যেকোনো কাজ করতে গেলে কিছু সমস্যা হয়। মেট্রো রেল নির্মাণে পূর্বাচল ৩০০ ফুটের (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে) তেমন ক্ষতি হবে না। উদাহরণ হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নে কারো জমি নিই, কারো ভবন নিই, কারো বাড়ি ভাঙা পড়ে। তার জন্য অবশ্যই আমরা ক্ষতিপূরণ দিই। তার আগে আমরা কতটুকু ক্ষতি হবে তা স্টাডি করি। এ ক্ষেত্রে তিন শ ফুট সড়কের তেমন ক্ষতি হবে না। সামান্য ক্ষতি হবে। এতে রাস্তার বিশাল ক্ষতি হবে এটা বলা যাবে না।
সচিব বলেন, পূর্বাচল অংশে মেট্রো রেলের কাজ চলাকালে হয়তো রাস্তার সামান্য ব্যত্যয় হতে পারে। সেখানে ব্যারিকেড দেওয়া হবে। আইল্যান্ড ভাঙা পড়বে। রাস্তার কিছু অংশ ভাঙা পড়বে। এটাকে রাস্তা কাটা বলা যাবে না।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক নির্মাণ করেছে। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া কাজ নির্ধারিত সময় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বেশির ভাগ শেষ হয়েছে। এ বছরের যেকোনো সময় প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হবে।
-এসআর