বিশেষ প্রতিনিধি: বেশি হজযাত্রীদের হজে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় অনেক রাষ্ট্র। ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে সর্বোনিম্ন খরচ হয়েছে চার লাখ ৫৬ হাজার ৬৩০ টাকা। আর ইন্দোনেশিয়ার হজ যাত্রীরা খরচ করেছেন বাংলাদেশি টাকায় মাত্র দুই লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৩ টাকা। তাদের শুধু এ টাকা খরচ করেই হজ করা হয়ে গেছে বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। বাকি টাকা ইন্দোনেশিয়ার সরকার ভর্তুকি দিয়েছে।
২০১৮ সাল পর্যন্ত হজযাত্রীদের ভর্তুকি দিয়েছে ভারত সরকার। আর মালয়েশিয়া সরকার হজযাত্রীদের ভর্তুকি দেওয়া বাবদ ছয়শ থেকে আটশ কোটি টাকা খরচ করে।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. জুয়েল বলেন, হজ আল্লাহর একটি ফরজ বিধানের পাশাপাশি অনেক বড় একটি আবেগেরও জায়গা। আমার মনে হয় সরকারের উচিত হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া।
তিনি বলেন, আমি গত বছর হজ পালন করেছি। বেশ কয়েক ধাপে আমাদের টাকা বাড়ানো হয়েছে। একবার আমার মনে হয়েছিলো এতো টাকা খরচ করে হজে যাবো না। পরে আল্লাহ আমাকে সঠিক বুঝ দান করেন। আমি প্রতিজ্ঞা করি যতটাকাই খরচ হোক না কেন, আমি ইনশাআল্লাহ হজে যাবোই। এরপর আমি হজ করে আসি। আল্লাহর রহমতে আমি জীবনে অনেক বরকত পাচ্ছি। আমার মনে হয়, আমি একজন ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে যদি বরকত পাই তাহলে সরকার যদি ধরনের কাজে ভর্তুকি দেয় সেক্ষেত্রে দেশের অনেক বরকত হবে।
এ বিষয় নিয়ে কথা হয় স্কাই হলি ডেইজের মালিক মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, তুলনামূলক এবছর হজের নিবন্ধন কম হচ্ছে। তবে আমাদের যে কোটা দেওয়া হয়েছে তা খালি থাকবে আমার কাছে তা মনে হয় না। আগে যারা একাধিকবার হজ করেছেন এখন এমন লোক হজে কম যাবেন। বিশে^র অনেক দেশের হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেয়। আমাদের সরকার যদি সেটা দেয় তাহলে তো অনেক ভালো হয়।
এছাড়া সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে এ রিপোর্টারের কথা হয়। তারা বলেন, সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। সরকার যদি হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে কিছু টাকাও ভর্তুকি দেয় তাহলে অনেক ভালো হতো।
-এটি