শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ২৫ নভেম্বর ‘আলেমদের নেতৃত্বেই কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব’ বইমেলায় ‘সঠিক নিয়মে হাতের লেখা প্রশিক্ষণ বাংলা’-এর মোড়ক উম্মোচন সিলেটে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সমাবেশ শনিবার সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আলেম রাজনীতিবিদরা খালেদা জিয়াকে পেয়ে সেনাকুঞ্জ গর্বিত: প্রধান উপদেষ্টা লক্ষ্মীপুর মারকাযুন নূরে ১১ মাসে হাফেজ হল ১১ বছরের শিশু আফসার যেসব অভ্যাস নীরবে মস্তিষ্কের ভয়াবহ ক্ষতি করে বৈষম্য ও অন্যায় নির্মূলে খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই: মজলিস আমীর আওয়ামীলীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান খেলাফত মজলিসের

মাসবূক ব্যক্তি মুকাব্বির হলে ইমামের সালাম ফিরানোর সময় কী বলবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রশ্ন: আমার প্রশ্নটি হলো, নামাজ মাসবুক হওয়া ব্যক্তি যদি মুকাব্বির হয় তাহলে ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর জন্য ” আস্সালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ” বললে মুকাব্বির তখন মুখে কি বলবে? কারণ এমতাবস্থায় তো মুকাব্বিরকে দাঁড়িয়ে মাসবুক হওয়া নামাযের অবশিষ্ট অংশ আদায় করতে হবে

উত্তর: মাসবূক ব্যক্তির মুকাব্বির হওয়া উচিত নয়। বরং যারা প্রথম থেকে নামাযে শরীক আছে, তাদের মাঝে কেউ মুকাব্বির হওয়াই বাঞ্ছনীয়।

তবে যদি মাসবূক ব্যক্তি জরুরতের কারণে মুকাব্বির হয়েও থাকে, তবুও তার জন্য ইমামের সালাম ফিরানোর সময় সালাম ফিরানো জায়েজ নয়। কারণ, ইচ্ছেকৃত মাসবূক ব্যক্তি সালাম ফিরিয়ে ফেললে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মাসবূক ইমাম সালাম ফিরালে মাসবূক সালাম ফিরাবে না, বরং বাকি নামায পূর্ণ করবে।

اقتداء الناس بالنبي – صلى الله عليه وسلم – في مرض موته وهو قاعد وهم قيام وهو آخر أحواله فتعين العمل به بناء على أنه عليه الصلاة والسلام كان إماما وأبو بكر مبلغا للناس تكبيره وبه استدل على جواز رفع المؤذنين أصواتهم في الجمعة والعيدين وغيرهما۔(البحر الرائق،باب الامامة،ج:1 ،ص637)

قيد بالسجود، لأنه لا يتابعه فى السلام، بل يسجد معه، فأن سلم كان عامدا فسدت وإلا لا (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب سجود السهو، زكريا-2/546، كرتاشى-2/82)

الْمَسْبُوقُ ‌إنَّمَا ‌يُتَابِعُ ‌الْإِمَامَ فِي السَّهْوِ دُونَ السَّلَامِ، بَلْ يَنْتَظِرُ الْإِمَامَ حَتَّى يُسَلِّمَ فَيَسْجُدَ فَيُتَابِعُهُ فِي سُجُودِ السَّهْوِ لَا فِي سَلَامِهِ.

وَإِنْ سَلَّمَ فَإِنْ كَانَ عَامِدًا تَفْسُدُ صَلَاتُهُ، وَإِنْ كَانَ سَاهِيًا لَا تَفْسُدُ، وَلَا سَهْوَ عَلَيْهِ؛ لِأَنَّهُ مُقْتَدٍ، وَسَهْوُ الْمُقْتَدِي بَاطِلٌ، فَإِذَا سَجَدَ الْإِمَامُ لِلسَّهْوِ يُتَابِعُهُ فِي السُّجُودِ وَيُتَابِعُهُ فِي التَّشَهُّدِ، وَلَا يُسَلِّمُ إذَا سَلَّمَ الْإِمَامُ؛ لِأَنَّ هَذَا السَّلَامَ لِلْخُرُوجِ عَنْ الصَّلَاةِ وَقَدْ بَقِيَ عَلَيْهِ أَرْكَانُ الصَّلَاةِ فَإِذَا سَلَّمَ مَعَ الْإِمَامِ فَإِنْ كَانَ ذَاكِرًا لِمَا عَلَيْهِ مِنْ الْقَضَاءِ فَسَدَتْ صَلَاتُهُ؛ لِأَنَّهُ سَلَامُ عَمْدٍ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ ذَاكِرًا لَهُ لَا تَفْسُدُ؛ لِأَنَّهُ سَلَامُ سَهْوٍ فَلَمْ يُخْرِجْهُ عَنْ الصَّلَاةِ (بدائع الصنائع، كتاب الصلاة، فصل فى بيان من يجب عليه سجود السهو ومن لا يجب عليه، زكريا-1/422)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ