শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ২৫ নভেম্বর ‘আলেমদের নেতৃত্বেই কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব’ বইমেলায় ‘সঠিক নিয়মে হাতের লেখা প্রশিক্ষণ বাংলা’-এর মোড়ক উম্মোচন সিলেটে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সমাবেশ শনিবার সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আলেম রাজনীতিবিদরা খালেদা জিয়াকে পেয়ে সেনাকুঞ্জ গর্বিত: প্রধান উপদেষ্টা লক্ষ্মীপুর মারকাযুন নূরে ১১ মাসে হাফেজ হল ১১ বছরের শিশু আফসার যেসব অভ্যাস নীরবে মস্তিষ্কের ভয়াবহ ক্ষতি করে বৈষম্য ও অন্যায় নির্মূলে খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই: মজলিস আমীর আওয়ামীলীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান খেলাফত মজলিসের

হজ শুধু ফরজ বিধান নয়, মুমিনের স্বপ্নও

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিশেষ প্রতিনিধি: কোভিডের পর সব কিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হজের খরচ। কোভিডের আগের চেয়ে খরচ বেড়েছে বেশ বড় আকারে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের স্বপ্ন থেকে হজ প্রায় মুছে যেতে বসেছে। হজ একটি ফরজ বিধান হওয়ার সাথে সাথে মুমিনের স্বপ্নও। তাই সারা জীবন কষ্ট করে টাকা জমিয়ে একবার মক্কা-মদিনায় যাওয়ার তামন্না থাকে প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ে।

৬০ এর ঘরে পৌঁছে গেছে জমশের আলীর বয়স। দীর্ঘদিন থেকে তিনি ঢাকাতে সিএনজি চালান। একজন মুমিনের যেমন স্বপ্ন থাকে আল্লাহর ঘর জিয়ারতের। তিনিও তেমনি একটি স্বপ্ন লালন করে আসছেন অনেক আগে থেকেই।

এবারের হজের প্যাকেজ ঘোষণা হওয়ার পর তিনি এক প্রকার হজে যাওয়ার স্বপ্ন মুছে ফেলেছেন। সিএনজি চালিয়ে দৈনিক অল্প কিছু টাকা তার আয় হয়। এ টাকা দিয়ে সংসারের খরচ সামলাতে হয়। এরপর অন্যান্য সব কিছু সামলানের পরই তিনি কিছু টাকা করে গুছাচ্ছিলেন। কিন্তু যেভাবে হজের খরচ বাড়ছে তার কি আর জীবনে হজে যাওয়া হবে?

শুধু তিনিই নন। তার মত এমন অনেকই আছেন। বাংলাদেশ থেকে যারা হজে যান তাদের মধ্যে কৃষকরাও আছেন। বিভিন্নভাবে টাকা জমিয়ে তারা হজে যান। চাকরিজীবি, ব্যবসায়ীদের চেয়ে কৃষকরা কম সংখক হজে যান না। সিরাজগঞ্জের রায়হান আলী সারাদিন কৃষি জমিতে কাজ করেন। কিন্তু তিনিও স্বপ্ন দেখেন একদিন হজে যাবেন। কিন্তু এবার যেভাবে হজের টাকা বেড়েছে তাতে তিনি মনে করছেন জীবনে আর হজে যাওয়া হবে না।

বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশ। এদেশের প্রতিটি মুমিনের হৃদয়েই আছে মক্কা-মদিনা যাওয়ার স্বপ্ন। ঢাকার কামরাঙ্গীচারের জামিয়া রশিদিয়ার শিক্ষক ইমরান বলেন, আমি অল্প কিছু টাকা মাসিক বেতন পাই। সেই টাকা দিয়ে পরিবারের খরচ চালানোই কষ্টকর। তবুও আমি নিয়মিত টাকা জমাই। আমি ও আমার স্ত্রী এক সাথে হজ করার নিয়ত করেছি। দিন দিন সব কিছুর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হজের খরচও। তবুও মুমিনের স্বপ্ন থেকে মক্কা-মদিনা মুছে যেতে পারে না।

বাংলাদেশের জন্ম নেওয়া প্রায় প্রতিটি শিশুর কানেই জন্মের পর আজান দেওয়া হয়। তাই তাদের ইসলামের বিধানের প্রতি থাকে আলাদা ভালোবাসা। তারা মক্কা-মদিনার স্বপ্ন যেমন স্বপ্নে লালন করেন ঠিক তেমনই আল্লাহর রাস্তায় জীবন উৎসর্গ করাও স্বপ্নে লালন করেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ