মুফতী মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমী ।।
রাসূল সা:-এর সাথে সম্পর্ক গড়তে হাদিস পাঠ ও পাঠদানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের সভাপতি ও বিশ্বখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের সদরুল মুদাররিসিন মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানি বলেছেন, যারা হাদিস পড়ে এবং পড়ায়, নবীজীর সাথে তাদের একটি নেসবত ও সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। তাই আপনারা কেউ হাদিস পড়া বন্ধ করবেন না। যেভাবেই হোক এই নেসবত ও সম্পর্ক কায়েম রাখবেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সাভারের বিরুলিয়া কবরস্থান সংলগ্ন দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামিয়া হারুনিয়ার বুখারি শরিফের সমাপনী দরস অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশে বাংলাদেশ সফররত বর্ষিয়ান এ আলেম এসব কথা বলেন।
এ সময় হাদিস পাঠের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া এই সম্পর্ক স্থায়ী করার বিশেষ দিকনির্দেশনাও দেন মাওলানা মাদানি। তিনি বলেন, এই নেসবত কায়েম রাখার সহজ উপায় হলো হাদিস পড়া। দিনে-রাতে অন্তত ১৫-২০ মিনিট হাদিস পড়া। এক্ষেত্রে মেশকাতুল মাসাবিহ কিতাবটি পড়া যেতে পারে। মেশকাতের সংকলক প্রায় সকল বিষয়ে অধ্যায়ভিত্তিক হাদিস জমা করেছেন। তাই সব বিষয়ের হাদিস সেখানে সহজেই পাওয়া যায়।
বিশেষভাবে আলেম-ওলামা ও তালিবুল ইলমদের সম্বোধন করে উপমহাদেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেম মাওলানা আরশাদ মাদানি বলেন, ফারেগ হওয়ার পর যাদের হাদিস পড়ানোর সুযোগ হয়, তাদের জন্য তো ভালো। তবে যারা সে সুযোগ পান না, তারা অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে হাদিস পড়ার মাধ্যমে নেসবত কায়েম রাখবেন। কিয়ামতের দিন এই নিসবত নাজাতের ওসিলা ও মাধ্যম হবে ইনশাআল্লাহ।
আলেমরা যেন কখনোই হাদিস পড়া ও পড়ানো থেকে বিরত না থাকে তার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন মাওলানা মাদানি। তিনি বলেন, আপনারা কোনোভাবেই হাদিস পড়া বন্ধ করবেন না। যদি বন্ধ করে দেন, তাহলে নবীজীর সাথে এই রেশতা ও নেসবত শেষ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি রহ: তার গ্রন্থ ফুয়ুজুল হারামাইনে লিখেছেন- আমি একবার নবীজীর রওজা মোবারাকের পাশে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম- নবীজীর রওজা মোবারাক থেকে একটি আলোকচ্ছটা বের হয়ে ওই সব ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, যারা কোনো না কোনোভাবে হাদিসের সাথে জড়িত ছিল; পড়েছে বা পড়িয়েছে, লেখেছে বা দেখেছে।
লেখক: মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানির শাগরিদ ও মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
-এটি