আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ২০২৩ এর মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে জনগণের বোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক মানব সৃষ্টিতত্ত্ব অনুপ্রবেশ, ট্রান্সজেন্ডার, পৌত্তলিক ও ব্রাক্ষণ্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য, ইসলামকে ভিনদেশি সাব্যস্ত করা এবং প্লেজারিজমের মত নিন্দনীয় কাজের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে; যা জাতি হিসাবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশার।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পাঠ্যপুস্তক নিয়ে দেশের সর্বস্তরে বহুমাত্রিক আলোচনা উঠেছে। ভিন্ন ভিন্ন দিক নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন। পাঠ্যপুস্তকে ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। ইসলামের ফরয বিধান পর্দা এবং মুসলিম পুরুষের পরিচয়বাহক দাঁড়ি-টুপিকে কটাক্ষ করা হয়েছে। পর্দাকে অবরোধ প্রথা এবং অবরোধবাসিনী শিরোনামের গল্পে পর্দাকে কটাক্ষ করে কিছু মনগড়া কল্পকাহিনী যুক্ত করা হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের চিত্র ফুটিয়ে তুলতে দাঁড়ি-টুপি পরিহিত ছবি ব্যবহার করা হয়েছে; যার ঐতিহাসিক দালিলিক কোন ভিত্তি নেই। এভাবে বিশ্লেষণ করলে যে কারো কাছে প্রতীয়মান হবে যে, পুরো বইটাই একধরণের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব থেকে লেখা। স্বাধীনতার সময়কার রাজনীতির বর্ণণা দিতে গিয়ে আরবের দেশগুলো যারা একনায়কতন্ত্রের অধীনে পরিচালিত, তাদেরকে ইসলামী শরীয়াহ পালনকারী দেশ হিসেবে দেখিয়ে স্বাধীনতার বিপক্ষে তাদের অবস্থান দেখানো হয়েছে। পাকিস্তানী শাসকদেরকে ইসলামী শাসক হিসেবে দেখানো হয়েছে। আদতে পাকিস্তানী শাসক এবং আরবের শাসকবৃন্দ- তারা কেউই পুর্ণাঙ্গ ইসলাম অনসৃত না। অথচ এই বইয়ের উপস্থাপনা কৌশলে কোমলমতি বাচ্চাদের মনে ইসলামী শাসন সম্পর্কে বিরুপ ধারণা গড়ে উঠবে। আদতে যার কোন ভিত্তি নাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, সত্যনিষ্ঠ শিক্ষাবিদদের দ্বারা তা পুনরায় লিখতে হবে।
আজ রোববার বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় চরমোনাই’র ফাল্গুণের মাহফিল প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সাথে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মাদরাসার শিক্ষকমন্ডলিসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার দুইটি বই বাতিল করে ভাল কাজ করেছে। কিন্তু এই দুইটি বই ছাড়া অন্যান্য বইয়েও অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। সবগুলো বাতিল করতে হবে। সেইসাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
কেএল/