আবদুল্লাহ তামিম।। সুন্নাহভিত্তিক জীবন-যাপন ও আলেমদের মধ্যে ঐক্য খুব জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতি, জামিয়া মাহমুদিয়া চরখরিচার প্রতিষ্ঠাতা ও শায়েখ মুহিউসুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
গতকাল শুক্রবার আসরের নামাজের আগ মুহূর্তে গভীর মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় জামিয়া মাহমুদিয়া চরখরিচার ইসলামী মহাসম্মেলন। সম্মেলনের সমাপনী দিনে দেশের সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক গম্বুজের মদিনা মসজিদে জুমার নামাজের ইমামতি করেন তিনি। জুমার নামাজে আশপাশ থেকে দলে দলে মানুষ আগমন করেন। প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লি মসজিদে, মসজিদের বাইরের মাঠে মাদরাসার মাঠে নামাজ আদায় করেন।
মুনাজাতপূর্ব সমাপনী বক্তব্যে মুহিউসুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, বর্তমান সময়ে সুন্নাহভিত্তিক জীবন-যাপন ও আলেমদের মধ্যে ঐক্য খুব জরুরি। ইহকালে ও পরকালে শান্তি পেতে হলে দীনের পথে আসতেই হবে। সুন্নাহভিত্তিক জীবন-যাপন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আলেমরা শান্তিপ্রিয়, তাদেরকে জেলবন্দি করে রাখাটা ঠিক হচ্ছে না। দ্রুত সব আলেমকে মুক্ত করে দিতে হবে। এছাড়াও সমাজে শান্তি-সৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহসম্মেলনের স্টেজে উপস্থিত ছিলেন, চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহা.রেজাউল করীম।
এর আগে বৃহস্পতিবার আসরের পর থেকে শুরু হয় মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ময়মনসিংহ সদরে অবস্থিত জামিয়া মাহমুদিয়া চরখরিচার দু’দিনব্যাপী এ ইসলামী মহাসম্মেলন। জামিয়া মাহমুদিয়া চরখরিচায় খতমে কুরআন কারীম ও খতমে বুখারি শরীফ উপলক্ষে এই মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার জুম’আর নামাজের ইমামতি এবং খতমে কুরআনে কারীম ও খতমে বুখারি শরীফের দরস দেন বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতি, জামিয়া মাহমুদিয়া চরখরিচার প্রতিষ্ঠাতা ও শায়েখ মুহিউসুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান। জামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাসরুরুল হাসান দু’দিনের এ ইসলামী মহাসম্মেলন তত্বাবধান ও পরিচালনা করেন।
আমন্ত্রিত মেহমানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শায়খুল হাদিস ও জামিয়া দারুল আরকাম আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা সাজিদু রহমান।
আমন্ত্রিত উলামায়ে কেরামের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা আব্দুল হক, মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী, আল্লামা আনওয়ারুল হক, মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, মুফতি রেজাউল করীম আবরার, মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ আল-ফরিদী, মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, মাওলানা হাবিবুর রহমান মিছবাহ।
-এটি