আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আজ বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা বা ইউনেস্কোর উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।
এই বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো, ‘মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে আরবি ভাষার অবদান। ’ ১৯৭৩ সালে ১৮ ডিসেম্বর ষষ্ঠ ভাষা হিসেবে আরবি ভাষা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা লাভ করে।
জাতিসংঘের অন্য দাপ্তরিক ভাষাগুলোর (ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, চায়নিজ, রুশ) মতো আরবি ভাষা দিবস উদযাপনের জন্য দিনটি নির্ধারিত হয়। প্রতি বছর ইউনেস্কোসহ আরব রাষ্ট্র ও আরবি ভাষার প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
আরবি ভাষা বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাগুলো অন্যতম।
আরব বিশ্বের ২৫টি দেশ ছাড়াও পৃথিবীর অনেক দেশে তা দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইসলাম ধর্মের পবিত্র কোরআন, হাদিস ও মুসলিম মনীষী ও বিজ্ঞানীদের রচনার ভাষা হিসেবে তা ব্যবহৃত হয়। কয়েক হাজার বছর পার হলেও আরবি ভাষা আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল হয়ে আছে আজ পর্যন্ত।
এদিকে গত ১৬ ডিসেম্বর ইনেস্কোর সদর দপ্তর প্যারিসে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে সৌদি দাতব্য সংস্থা সুলতান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ফাউন্ডেশনের অংশগ্রহণে এবং ইউনেস্কোতে সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি দলের সহযোগিতায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সিরিজ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন ইউনেস্কোর সামাজিক ও মানব বিজ্ঞানের সহকারী মহাপরিচালক গ্যাব্রিয়েলা রামোস, ইউনেস্কোতে সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি প্রিন্সেস হাইফা আল-মুগরিন ও সুলতান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সালিহ আল-খুলাইফি।
এতে তিনটি বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, বিশেষজ্ঞ ও তরুণরা। বিষয়গুলো হলো- ‘সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য : আরবি ভাষার অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য ভাষার সঙ্গে সমন্বয়’, ‘মানবিক মূল্যবোধের অংশীদার : ডিজিটাল প্রযুক্তি ও আধুনিক যোগাযোগ পদ্ধতির সম্ভাবনা’, ‘বহুভাষিকতার মাধ্যমে সামাজিক সংহতি ও অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা’।
এরপর সামাজিক সংহতির জন্য আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপের প্রচার এবং ভিন্ন ভাষাভাষীদের জন্য আরবি ভাষা শিক্ষা নিয়ে দুটি আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার পর্বের পাশাপাশি ফরাসি-তিউনিসিয়ান শিল্পী রামজেড একটি দিনব্যাপী ম্যুরাল ক্যালিগ্রাফি পর্ব পরিচালনা করেন। সবশেষে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
-এসআর