আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়া এবং সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও বড় আশ্রয়স্থল আদালত। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধ মামলার বিচারের মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মানুষের আস্থায় ফিরেছে উচ্চ আদালত।
সেই সাথে মানুষের প্রত্যাশাও বেড়েছে। এমন বাস্তবতায় এ বছর সুপ্রিমকোর্ট প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন হচ্ছে। মামলাজট ও বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সূত্রতা কমিয়ে আনার দাবি বিচারাঙ্গন ও সাধারণ মানুষের।
১৯৭২ সালের চৌঠা নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান গণপরিষদে গৃহীত হওয়ার পর ১৮ই ডিসে¤¦র প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। এ বছর বাংলাদেশের সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী।
গত ৫০ বছর বাংলাদেশের বিচারাঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলেন, এই দীর্ঘ সময়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সাহসী ভূমিকা রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সাংবিধানিক নানা ইস্যুতে সর্বোচ্চ আদালতকে সাহসিকতার সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। গণতন্ত্রের পথ সুগম করতে সামরিক শাসন আমলকে অবৈধ ঘোষণার মতো সিদ্ধান্তও এসেছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। তবে, এত প্রাপ্তির মধ্যেও বিচারে দীর্ঘসূত্রতা ও গোলাম আজমের মতো রাজাকারের নাগরিকত্ব প্রদানের রায় সমালোচিতও হয়েছে।
দেশ পরিচালনায় সংবিধানকে সঠিকভাবে অনুসরণ করলে সবকিছু সমাধান পাওয়া যাবে বলে মনে করেন সংবিধান প্রণেতাদের একজন ডক্টর কামাল হোসেন। মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা ও সংবিধানকে সুসংহত রাখতে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে বলেও জানান তিনি।
-এটি